‘দ্য লাস্ট মাইল’! এভাবেই বিসিসিআই দেখছিল আইপিএল ফাইনালকে (IPL 2025 Final, RCB vs PBKS)। মঙ্গলে সবরমতীর পাড়ে শেষ মাইল পেরিয়ে মাইলস্টোন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (Royal Challengers Bengaluru)! অমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বিগত ১৭ বছরের বসে যাওয়া ভাগ্যের চাকা ঘুরল বিরাট কোহলিদের (Virat Kohli)। অবশেষে লাল ঝাণ্ডা উড়ল… আইপিএল ২০২৫ পেল নতুন এক চ্যাম্পিয়নকে। ১৮ বছরের এই প্রথমবার শিরোপা আরসিবি-র (RCB)। আরসিবি ২০০৯, ২০১১, ২০১৬-র পর চতুর্থবার ফাইনাল খেলল এবং অবশেষে জিতল (RCB Wins IPL 2025 Final)। পঞ্জাব কিংসকে (PBKS) তারা ফাইনালে হারাল ৬ রানে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ইনিংস
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আরসিবি ২০ ওভারে তুলেছিল ৯ উইকেটে ১৯০ রান। ফিল সল্ট ও বিরাট কোহলির ওপেনিং জুটিতে এসেছিল মাত্র ১৮ রান। সল্ট কাইল জেমিসনের ফুল লেন্থ বল তুলে খেলতে গিয়ে শ্রেয়স আইয়ারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ১.৪ ওভারে ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় আরসিবি। ফিরে যান সল্ট। এরপর বিরাটের হাত শক্ত করতে এসেছিলেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল (১৮ বলে ২৪) ও অধিনায়ক রজত পাতিদার (১৬ বলে ২৬)। ১১ ওভারের ভিতর আরসিবি-র তিন উইকেট চলে যায় ৯৬ রান তুলতে গিয়ে। ৩৫ বলে ৪৩ রান করে ফিরে যান কোহলিও। আজমাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে তাঁর হাতেই কোহলি ক্যাচ তুলে দেন। পাঁচ থেকে সাতে নামা তিন ব্যাটার- লিয়াম লিভিংস্টোন (১৫ বলে ২৫), জীতেশ শর্মা (১০ বলে ২৪) ও রোমারিও শেফার্ড (৯ বলে ১৭) দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেছিলেন। শেষের দিকে ক্রুনাল পাণ্ডিয়া ও ভুবনেশ্বর কুমার, আসেন আর ফিরে যান। পঞ্জাবের হয়ে তিন উইকেট করে নিলেন জেমিসন ও অর্শদীপ সিং। ওমরজাই-বিজয়কুমার বৈশাক ও যুজবেন্দ্র চাহাল এক উইকেট করে নিয়েছেন
পঞ্জাব কিংসের ইনিংস
১৯১ রানের টার্গেট মাথায় নিয়ে পঞ্জাবের হয়ে শুরুটা করেছিলেন দুই তরুণ ওপেনার- প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরণ সিং। দু’জনেই ছিলেন মারকাটারি মেজাজে। পাওয়ারপ্লে-র পুরো ফায়দা তুলতেই তাঁরা ব্যাট চালাচ্ছিলেন। কিন্তু প্রিয়াংশকে ফিরতে হয় সল্টের অসাধারণ ক্যাচে। জশ হ্যাজেলউডের কোমরের উপর লেন্থ বলে উড়িয়ে খেলেছিলেন প্রিয়াংশ। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনের ভিতরে-বাইরে গিয়ে সল্ট যে ক্যাচ নিলেন, তা ছিল দেখার মতো। ১৯ বলে ২৪ করে আউট হন প্রিয়াংশ। এরপর প্রভসিমরণকেও হারায় পঞ্জাব। ক্রুনাল পাণ্ডিয়ার স্লোয়ার চালিয়ে খেলতে গিয়ে প্রভসিমরণ ভুবনেশ্বর কুমারের হাতে জমা পড়ে যান। ৯ ওভারের ভিতর ৭২ রানে ২ উইকেট চলে যায় পঞ্জাবের। চারে নেমে অধিনায়ক শ্রেয়স আজই চূড়ান্ত ব্যর্থ হলেন। রোমারিও শেফার্ডের বলে সূযশ শর্মার হাতে ক্যাচে তুলে দেন। ১০ ওভারের ৭৯ রান তুলতে গিয়ে পঞ্জাবের তিন উইকেট চলে যায়। তিনে জশ ইংলিস নেমে চেনা ক্রিকেট খেলাই শুরু করেছিলেন। মনে হচ্ছিল তিনিই হয়তো আমদাবাদের আলো কেড়ে নেবেন। কিন্তু না, ২৩ বলে ঝোড়ো ৩৯ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান তিনি। পাণ্ডিয়ার বলে লিভিংস্টোনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। এরপর নেহাও ওয়াধেরা ১৮ বলে ১৫ রান করে ফেরেন। ছয়ে নেমে শশাঙ্ক সিং ৩০ বলে ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেও বৈতরণী পার করাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত আরসিবি ৬ রানে জিতে যায় আইপিএল ফাইনাল। ২০১৪ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আইপিএল ফাইনাল খেলল পঞ্জাব।