কখনই ধনী থেকে ধনীতম হওয়ার পথে হাঁটেননি রতন টাটা। বিপুল ধনী হওয়া সত্ত্বেও তিনি খুবই সাধারণ জীবনযাপন করতেন। টাটা ট্রাস্টের মাধ্যমে তাঁর বিশাল জনহিতকর কাজের জন্যও পরিচিত ছিলেন তিনি। সাধারণভাবে ভারতের প্রভাবশালী ধনকুবের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সবারই উত্সাহ থাকে। তারা কত দামী জামাকাপড় পরছেন, কোথায় ঘুরতে যাচ্ছেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
এইসবের মধ্য়ে জানা গিয়েছে, রতন টাটা এতটাই সাধারণ ছিলেন যে, তিনি কোয়ার্টজ চালিত ভিক্টোরিনক্স সুইস আর্মি রেকন ঘড়ি পরতেন। মোটা অক্ষরে লেখা ৩, ৬ এবং ৯ নম্বর ঘড়িটির দাম প্রায় ১০,৩২৮ টাকা। তিনি অনেক সামাজিক কারণ এবং নতুন স্টার্ট আপে অর্থ বিনিয়োগ করে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের থেকে নিজেকে আলাদা করেছেন।
রতন টাটা এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোলাবায় ২০০ কোটি টাকার একটি বিলাসবহুল বাড়ি, একটি ব্যক্তিগত জেট, ফেরারি ক্যালিফোর্নিয়া টি এবং একটি জাগুয়ার এফ-টাইপ সহ বিলাসবহুল যানবাহনের সংগ্রহ থাকা সত্ত্বেও একটি সাধারণ জীবনযাপন করেছিলেন।
উল্লেখ্য, বয়স আশি পার। ৭ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি হন টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তারপর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। রতন টাটা অবশ্য় নিজেই জানিয়েছিলেন, রেগুলার চেক আপের জন্য তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লিখেছিলেন, ‘আমার স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক জল্পনা ছড়াচ্ছে। ওইসব জল্পনার কোনও ভিত্তি নেই’। তবে বুধবার থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। বুধবার রাতেই মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান।
রতন টাটার মোট সম্পত্তি যার আনুমানিক মোট মূল্য প্রায় ৩৮০০ কোটি টাকা। তাঁর মোট আয়ের বড় অংশ-ই টাটা গ্রুপের হোল্ডিং কোম্পানি, টাটা সন্সের মাধ্যমে আসত। টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান হিসাবে বার্ষিক আড়াই কোটি টাকা পারিশ্রমিক ছিল রতন টাটার।