দিনেদুপুরে সোনার গহনার শো-রুমে দুঃসাহসিক ডাকাতিতে তোলপাড় রানাঘাট। মঙ্গলবার প্রকাশ্য রাস্তায় পুলিসের সঙ্গে গুলির লড়াই আহত ২ ডাকাত। বিপুল টাকার সোনা ও নগদ ডাকাতি করেও শেষরক্ষা হল না। ধরা পড়ে গেল ৪ ডাকাত। এদের মধ্যে ২ জনের পায়ে গুলি লাগে। পুলিসি জেরায় জানা গিয়েছে ওইসব ডাকাতরা এসেছিল বিহার থেকে।
ডাকাতির ঘটনায় সাংবাদিক সম্মেলন করে নদিয়া মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি রশিদ মুনির খান জানান, দুপুর আইটে নাগাদ ওই নামী গহনা সংস্থার শো রুমে ডাকাতি করতে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। দোকানে ঢুকে তারা লুঠপাট চালানোর সময় দোকানের উপরে বসেই সিসিটিভি সামলাচ্ছিলেন অন্য এক নিরাপত্তারক্ষী। সেখান থেকেই তিনি রানাঘাট থানার পুলিসকে ফোন করে জানান। বিকেল তিনটে নাগাদ পুলিস এসে পৌঁছালে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ডাকাত দল। পুলিস তাদেরকে ধরতে গেলে পুলিসকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে ডাকাতরা। পুলিসও পাল্টা গুলি চালায়। তাতে দুই ডাকাত আহত হয়। গুলি লাগে তাদের পায়ে। কোনও পুলিস কর্মীর আহত হওয়ার কোনও খবর নেই।
সোনার গয়না ও নগদ মিলিয়ে প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি উদ্ধার হয়েছে। বেশ কিছু ফলস নম্বর প্লেট-সহ দুটি মোটর বাইক এছাড়াও চারটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, কুড়ি রাউন্ডের বেশি গুলি, আধার কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার করা হয়েছে। যে গ্যাংটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত তাদের বাড়ি বিহারে। বেশ কিছুদিন আগে তারা রেইকি করে যায়। তারপরে আজকের এই ঘটনা।
ডিআইজির দাবি, বিহার থেকে ওইসব ডাকাতরা ট্রেনে আসে কল্যাণী। সেখান থেকে বাইকে করে রানাঘাট। এখনওপর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট তিনটি বাইকে করে তারা এসেছিল। ওইসব ডাকাতদের তিনজনের বাড়ি বিহারের বৈশালী জেলায়। অন্য একজনের বাড়ি ছাপরা জেলায়। দুষ্কৃতীরা ৭-৮ রাউন্ড গুলি চালায়। দুষ্কৃতীরা ছিল মোট আট। বিহারে বিভিন্ন রকম দুষ্কৃতীমূলক কাজের সাথে এরা সকলেই জড়িত। এর আগে বিহারে তারা জেল খাটে।