‘NIA-রে দিয়ে গ্রেফতার করা উচিত’। রামনবমীতে অশান্তি পাকানোর চেষ্টার অভিযোগে এবার খোদ কলকাতা পুলিস কমিশনারকেই গ্রেফতার করার দাবি তুললেন শুভেন্দু অধিকারী! বাদ গেলেন না জাভেদ শামিম ও সুপ্রতীম সরকারও।
শুভেন্দু বলেন, ‘উত্তেজনা তো ওরাই সৃষ্টি করছে। মনোজ ভার্মা, সুপ্রতীম সরকার, জাভেদ শামিম তিনজনকে আগে গ্রেফতার করা উচিত। কালকে যে ভাষায় প্রেস কনফারেন্স করেছে। জাভেদ শামিম হিন্দুদেরকে উসকানি দিচ্ছে। সাম্পদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। যে তিনটে বেয়াদপ সাংবাদিক সম্মেলনে করেছে, ওদের আগে গ্রেফতার করা উচিত। NIA-রে দিয়ে গ্রেফতার করা উচিত’।
ঘটনাটি ঠিক কী? আর বেশি দেরি নেই। আগামী ৬ এপ্রিল রামনবমী। অশান্তি রুখতে তত্পর কলকাতা পুলিস। গতকাল, শনিবার কলকাতা পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, ‘স্পর্শকাতর এলাকাগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। ওখানে কী কী করতে হবে, বিস্তারিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রামনবমী যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হবে, তার জন্য যা যা পদক্ষেপ করা দরকার, তা নিশ্চয়ই করা হবে’। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘যাঁরা অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করবেন, ওদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
এদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতা পুলিসের আর এক শীর্ষ আধিকারিক জাভেদ শামিম জানান, ‘দুই সম্প্রদায়ের মধ্য়ে অশান্তি ছড়ানো ও পরিকল্পনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে শ্য়ামপুর থানায়। তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে আছে’। বলেন, জনগণকে সংবেদনশীল ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। কোনওরকম প্ররোচনায় যে পা না দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানগুলি যেন আমরা ভালোভাবে পালন করতে পারি’।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের পাল্টা দাবি, ‘কীসের বাধা! যে জায়গায় আইনসম্মতভাবে সুন্দর রুট আছে। তাঁরা সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে যাবেন। কেউ তো বারণ করেনি। কিন্তু বিজেপির একাংশ যদি খবরে থাকার জন্য, গোলমাল পাকানোর জন্য, ইস্যু তৈরির জন্য, ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বানিয়ে গন্ডগোল পাকানোর প্ররোচনায় দেয়। তো পুলিস পুলিসের কাজ করবে’।