রবিতে আইপিএল ফাইনাল, বাদশার নাইটদের সামনে তৃতীয় বার ট্রফি জয়ে বাধা কি এক বঙ্গ ক্রিকেটার?

প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে এ বারের আইপিএল শুরু করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেই প্যাট কামিন্সের দলকে হারিয়েই ফাইনালে উঠেছেন শ্রেয়স আয়ারেরা। রবিবারের খেতাবি লড়াইয়ে আবার সেই হায়দরাবাদের সামনে কলকাতা।

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা কেকেআর চেন্নাইয়ে ৩-০ করতে মরিয়া। দলে চোট-আঘাত সমস্যা নেই। কোয়ালিফায়ার ম্যাচের আগে যে কয়েকটা জায়গা নিয়ে উদ্বেগ ছিল, তার প্রত্যেকটিতে ভাল ভাবে উতরে গিয়েছেন শ্রেয়সরা। তার মানে এই নয় ফাইনাল সহজ হবে। ট্রেভিস হেড এবং অভিষেক শর্মার ওপেনিং জুটি আইপিএলে বহু দলকে বিপদে ফেলেছেন। হায়দরাবাদের এই দুই ব্যাটারকে নিয়ে সতর্ক থাকতেই হবে। সতর্ক থাকতে হবে ফর্মে থাকা হেনরিখ ক্লাসেন, রাহুল ত্রিপাঠী, নীতীশ কুমার রেড্ডি, এডেন মার্করামদের নিয়েও। প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা ব্যাটিং লাইন আপের বিরুদ্ধে ‘ফাইনাল’ পরীক্ষা দিতে হবে কলকাতার বোলারদের।

শুধু ব্যাটারদের নিয়ে পরিকল্পনা করলেই হবে না। কামিন্স, ভুবনেশ্বর কুমার, টি নটরাজনদের মতো বোলারদেরও সামলাতে হবে কেকেআর ব্যাটারদের। চেন্নাইয়ের ২২ গজে কেকেআরকে সমস্যায় ফেলতে পারেন কলকাতার বাসিন্দা এক ক্রিকেটার। তিনি শাহবাজ় আহমেদ। বঙ্গ অলরাউন্ডার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে দেখিয়ে দিয়েছেন, কী করতে পারেন। কেকেআরের ট্রফি জয়ের পথে অন্যতম বাধা হতে পারেন শাহবাজ়ও। ছ’দিনে তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে কামিন্সদের। এই বিষয়টা কেকেআরের পক্ষে যেতে পারে।

সব কিছুই কেকেআরের বিপক্ষে, এমন নয়। বিশেষ করে এ বারের আইপিএলেই হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে অপরাজিত থাকার রেকর্ড শ্রেয়সদের সঙ্গে থাকবে। প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা ভারসাম্য যুক্ত দল কলকাতা। ফিল সল্ট দেশে ফিরে যাওয়ার পর ওপেনিংয়ে সুনীল নারাইনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ়। ফর্মে আছেন বেঙ্কটেশ আয়ার, শ্রেয়স আয়ার, আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিংহেরাও। মিচেল স্টার্ক ফর্ম ফিরে পাওয়ায় কলকাতার বোলিংকেও বেশ শক্তিশালী দেখাচ্ছে। নারাইন, বরুণ চক্রবর্তী, বৈভব অরোরা, হর্ষিত রানা, রাসেলেরাও দলকে ভরসা দিচ্ছেন।

কেকেআর শিবির ফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাসী। শেষ ম্যাচের পর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাওয়ায় তরতাজা রয়েছেন ক্রিকেটারেরা। বেঙ্কটেশ বলেছেন, ‘‘পরিকল্পনা সঠিক ভাবে প্রয়োগ করার থেকে বেশি সন্তুষ্টি আর কিছুতে নেই। আমরা এখন সেটা ঠিক মতো করতে পারছি। আমরা যে ভাবে খেলছি, তাতে আমরা খুশি। তবে সন্তুষ্ট নই। আমাদের খিদে এখনও মেটেনি। আইপিএল ট্রফি না জেতা পর্যন্ত মিটবে না। এক মাত্র চ্যাম্পিয়ন হতে পারলেই সন্তুষ্ট হব আমরা।’’

হায়দরাবাদকে হালকা ভাবে নিচ্ছে না কেকেআর। ক্রিকেটারদের মধ্যে যাতে আত্মতুষ্টি না আসে সে দিকে কড়া নজর রাখছেন কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত এবং মেন্টর গৌতম গম্ভীর। ১০ বছর আগের রাত ফিরিয়ে আনতে মরিয়া বলিউডের বাদশার নাইটেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.