স্কুটিতে শিলং থেকে সোহরা যান রাজা-সোনম, হোমস্টেতে ব্যাগ রেখে বেরিয়ে যান, সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে

মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের নবদম্পতি রাজা রঘুবংশী এবং সোনমের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার আগের সেই ভিডিয়োর সূত্র ধরেই তদন্ত করছে মেঘালয় পুলিশ। জানা গিয়েছে, ভিডিয়োটি সোহরার একটি হোমস্টের সিসিটিভি ফুটেজ (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। শিলংয়ের ‘টি৭’ নিউজ় চ্যানেলের তরফে সেই ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে বলে ‘আজ তক’-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিডিয়োটি ২২ মে-র। ওই দিন নীল রঙের একটি স্কুটিতে চেপে রাজা এবং সোনম সোহরার একটি হোমস্টেতে আসেন। তাঁদের পরনে ছিল কালো রঙের বর্ষাতি (রেনকোট)। মাথায় হেলমেটও ছিল। সঙ্গে ছিল সাদা রঙের একটি ছোট ট্রলিব্যাগ। স্কুটি থেকে নেমে তাঁরা হোমস্টের রিসেপশনে যান। সেখানে কথা বলেন রাজা। তার পর তাঁদের ব্যাগ রাখেন।

স্কুটির সামনেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে সোনমকে। তিনি বর্ষাতি খুলে রেখে স্কুটির ডিকিতে রেখে দেন। তাঁর পরনে ছিল সাদা টি শার্ট এবং কালোরঙা প্যান্ট। রাজা অবশ্য তাঁর বর্ষাতি খোলেননি। সিসিটিভি ফুটেজে তেমনই দেখা গিয়েছে। দু’জন তাঁদের প্রয়োজনীয় জিনিস ট্রলিব্যাগ থেকে বার করে গাড়ির ডিকি এবং সঙ্গে থাকা ছোট ব্যাগে ভরে নেন। তার পর দু’জনে স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ঘটনাচক্রে, যে দিন (২ জুন) রাজার দেহ সোহরারিমের জলপ্রপাতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়, সেখানে একটি সাদা জামা পড়ে ছিল। এ ছাড়াও একটি বর্ষাতিও পাওয়া যায়। এখন এই বর্ষাতি এবং জামা নিয়েই সন্দেহ বাড়ছে। তা হলে কি সেই বর্ষাতি এবং সাদা জামা সোনমের? ঠিক একই রকম জামা পরেছিলেন সোনম। সিসিটিভি ফুটেজে সেই দৃশ্যও ধরা পড়েছে।

সোনমের খোঁজে ড্রোন দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এ ছাড়াও তল্লাশিতে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য পুলিশ এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকেরাও। খারাপ আবহাওয়া এবং দৃশ্যমানতা কম থাকার জন্য শুক্রবার সন্ধ্যার পর তল্লাশি অভিযান বন্ধ রাখা হয়। শনিবার সকাল থেকে আবার তল্লাশি শুরু হয়েছে। গত ২০ মে মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় যান রাজা-সোনম। ২৩ মে সোহরার একটি হোমস্টেতে শেষ বার তাঁদের দু’জনকে দেখা গিয়েছিল। সেই সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.