বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আরও একটি ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান ম্যাচ বাতিল হওয়ায় ৪ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেলেন স্টিভ স্মিথেরা। আফগানদের শেষ চারে যাওয়া নির্ভর করবে শনিবারের দক্ষিণ আফ্রিকা- ইংল্যান্ড ম্যাচের ফলের উপর। শুক্রবার লাহোরে প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান করে ২৭৩ রান। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ১২.৫ ওভার হওয়ার পর বৃষ্টি নামে। তার পর আর খেলা শুরু করা যায়নি। খেলা বন্ধ হওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ১ উইকেটে ১০৯।
খেলা শেষ না হওয়ায় দু’দলই এক পয়েন্ট করে পেল। চার পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেল অস্ট্রেলিয়া। আফগানিস্তানের ঝুলিতে থাকল ৩ পয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকারও সংগ্রহ ৩ পয়েন্ট। শনিবার ইংল্যান্ডকে হারাতে পারলেই টেম্বা বাভুমা গ্রুপের এক নম্বর দল হিসাবে সেমিফাইনালে চলে যাবেন। দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে গেলে বিচার্য হবে নেট রান রেট। সে ক্ষেত্রেও সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানিস্তানের নেট রান রেট -০.৯৯। অন্য দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা নেট রান রেট ২.১৪। আফগানিস্তানকে শেষ চারে উঠতে হলে শনিবার ইংল্যান্ডের কাছে অন্তত ২০৭ রানে হারতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৩০০ রান তুললে ৯৩ রানে শেষ হতে হবে বাভুমাদের ইনিংস। তা হলে আফগানিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে উঠবে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসাবে। গ্রুপের এক নম্বর দল হবে অস্ট্রেলিয়া।
শুরুটা এ দিনও ভাল করতে পারেনি আফগানিস্তান। প্রথমেই ফিরে যান রহমানুল্লা গুরবাজ় (শূন্য)। আর এক ওপেনার জ়াদরানও (২৮ বলে ২২) আগের দিনের মতো খেলতে পারেননি। তার নম্বরে নেমে ভরসা দিতে পারেননি রহমত শাহও (২১ বলে ১২)। তবে তিন নম্বরে নামা সেদিকুল্লা ২২ গজে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। তবু আফগানিস্তানের ইনিংস প্রয়োজনীয় গতির অভাবে ভুগল অধিনায়কের জন্য। গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ নম্বরে নেমে হশমতুল্লার মন্থর ব্যাটিং দলকে চাপে ফেলে দিল। ৩৩টি ডট বল খেললেন আফগান অধিনায়ক। শোয়েব আখতারের কথায়, বাবর আজ়মের মতো টুক টুক ব্যাটিং করলেন।
সেদিকুল্লার ৯৫ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেললেও প্রয়োজনীয় বড় রানের জুটি এ দিন তৈরি করতে পারেননি আফগানেরা। তাঁর পর দলের ইনিংসের হাল ধরেন অজমতুল্লা। শেষ দিকে কিছুটা চেষ্টা করেন রশিদ খানও (১৭ বলে ১৯)। অজমতুল্লা করলেন ৬৩ বলে ৬৭ রান। মারলেন ১টি চার এবং ৫টি ছক্কা। আফগান ইনিংসকে ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারেরাও। ৩৬ রান অতিরিক্ত দিলেন স্মিথেরা। ১৭টি ওয়াইড বল করলেন তাঁরা!
অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার বেন ডোয়ারশুইস ৪৭ রানে ৩ উইকেট নিলেন। ৪৮ রানে ২ উইকেট অ্যাডাম জ়াম্পার। ৪৯ রানে ২ উইকেট স্পেনসার জনসনের। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন নাথান এলিস এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
জয়ের জন্য ২৭৪ রানের লক্ষ্যে আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ম্যাথু শর্ট এবং ট্রেভিস হেড। ১৫ বলে ২০ রান করে আউট হয়ে যান শর্ট। খেলা বন্ধ হওয়ার সময় হেড ৪০ বলে ৫৯ এবং স্টিভ স্মিথ ২২ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ১২.৫ ওভারে ১ উইকেটে ১০৯।
ভারতীয় সময় রাত ৯.১৫ মিনিটে মাঠ পরিদর্শন করে আম্পায়ারেরা ম্যাচ বাতিল বলে ঘোষণা করেন। তখনও লাহোরের মাঠের বিভিন্ন জায়গায় জল জমে ছিল। একটি সুপার সপার, ফোম, বালি ব্যবহার করেও মাঠ খেলার উপযুক্ত করে তুলতে পারেননি মাঠ কর্মীরা।