আসন্ন আইপিএলেও দলের স্বার্থকে গুরুত্ব দিচ্ছেন লোকেশ রাহুল। জাতীয় দলের স্বার্থে পছন্দের ব্যাটিং অর্ডার ছেড়ে দিয়েছেন ওপেনিং ব্যাটার। আইপিএলেও দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে নিজেকে ব্যাটিং অর্ডারের নিচে নামাতে আপত্তি নেই রাহুলের।
প্রস্তাব পেয়েও দিল্লির অধিনায়কত্ব নিতে রাজি হননি রাহুল। সাধারণ ক্রিকেটার হিসাবে খেলতে চেয়েছেন। দলের স্বার্থে প্রিয় ওপেনিংয়ের জায়গাও ছেড়ে দিতে প্রস্তুত তিনি। দিল্লি শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের ভারসাম্য বৃদ্ধির জন্য নিজেই এই প্রস্তাব দিয়েছেন রাহুল।
একটা সময় পর্যন্ত ক্রিকেট মহলে ওপেনার হিসাবেই পরিচিত ছিলেন রাহুল। কখনও কখনও তিন নম্বরে ব্যাট করতেন। টপ অর্ডার ব্যাটার হিসাবে যথেষ্ট সফল হলেও সাদা বলের ক্রিকেটে তরুণদের ভিড়ে দলে জায়গা ধরে অনেক সময় কঠিন হয়েছে। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাঁকে বেছে নিয়েছিলেন ঋষভ পন্থের বিকল্প হিসাবে। গত এক দিনের বিশ্বকাপে রাহুলই ছিলেন ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক। ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ নম্বরে দেখা যেত তাঁকে। কয়েক দিন আগে শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসাবে ব্যবহার করেছেন রাহুলকে। ব্যাট করিয়েছেন আরও নীচে ছ’নম্বরে। সাদা বলের ক্রিকেটে নতুন এই ভূমিকাতেও মানিয়ে নিয়েছেন রাহুল। সাফল্যও পেয়েছেন।
রাহুল যেমন চাপের মুখে ধরে খেলতে পারেন, তেমনই চাপ কাটাতে আগ্রাসী ব্যাটিংও করতে পারেন। উইকেটরক্ষক হিসাবেও তিনি বিশ্বস্ত। সূত্রের খবর, নতুন অধিনায়ক অক্ষর পটেলকে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে চাপে ফেলতে চান না রাহুল। এ বার দিল্লির হয়ে ওপেন করতে পারেন দুই বিদেশি ফ্যাফ ডুপ্লেসি এবং জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। তিন নম্বরে আসতে পারেন বাংলার তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার অভিষেক পোড়েল। চার নম্বরে ব্যাট করতে পারেন রাহুল। আইপিএলে তাঁকে সম্ভবত উইকেট রক্ষা করতে হবে না। ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ নম্বরে থাকবেন অক্ষর। তাঁর পর ট্রিস্টান স্টাবসকে দেখা যেতে পারে ব্যাটিং অর্ডারের ছ’নম্বরে।
ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি দিল্লির কোচ হেমাঙ্গ বাদানি। তবে রাহুল তাঁকে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে নির্দিষ্ট বার্তা আগেই দিয়েছেন। ওপেনার রাহুল এখন আর ইনিংস শুরুর করার কথা ভাবছেন না। বরং সাদা বলের ক্রিকেটে দ্রাবিড়-দর্শনে মিডল অর্ডারেই মন দিতে চাইছেন কর্নাটকের ক্রিকেটার।