আরজিকর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভল্যান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের আরও এক কীর্তি সামনে। তাকে এবার মানসিক রোগী বলে সন্দেহ করছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। ঘটনার রাতে এক মহিলার সঙ্গে ফোনে কথা বলে সঞ্জয়। সেখানেও আরও এক কীর্তি।
সূত্রের খবর ঘটনার রাতে এক মহিলাকে ভিডিয়ো কল করে ধৃত সঞ্জয়। সেই ভিডিয়ো কলে সে ওই মহিলাকে স্ট্রিপ করতে অর্থাত্ জামাকাপাড় খুলতে বলে। সঞ্জয়ের মোবাইলে একাধিক পর্ন ভিডিয়োও রয়েছে। এখান থেকেই সঞ্জয়ের মন বোঝায় চেষ্টা করছেন সিবিআই তদন্তকারীরা। তাই তা জানার জন্য মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
সিবিআইয়ের টিমের সঙ্গে রয়েছে এইমসের বিশেষজ্ঞদল। তারা তদন্তের বর্তমান অবস্থায় সঞ্জয় রায়ের সাইকোলজিক্যাল টেস্ট করাতে চাইছেন। সম্ভবত আজই ওই টেস্ট করা হবে। তার সঙ্গে কথা বলে, তার মানসিক বিকৃতি রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্ট হবে। পাশাপাশি সঞ্জয়ের যে মোবাইল ফোন থেকে বিকৃত পর্নগ্রাফি পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সঞ্জয়ের আরও অনেক কীর্তি সামনে এসেছে। তার মধ্যে একটি হল সে পেশেন্ট পার্টির লোকজনের ফোন নম্বর জোগাড়া করে তাদের ফোন করত। কাশীপুরের এক তরুণীকে বিভিন্ন সময়ে ফোন করে এভাবেই উত্ত্যক্ত করত সঞ্জয়। মাস তিনেক আগে আরজি করে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। সঞ্জয় সে সময়ে তাঁকে সাহায্য করে। সেই সুযোগে ওই তরুণীর প্রেসক্রিপশন থেকে দেখে নেয় তার ফোন নম্বর। ব্যস! এর পর থেকে শুরু হয় ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করা। এহ বাহ্য। ব্যক্তিগত জীবনেও একজন গুণধর এই সঞ্জয়। বিবাহিত জীবন খুবই অস্থির। একই সময়ে একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলার অভ্যাস তার। তার জীবন ও যাপন যেন নিছক লোভ লালসা আর প্রভাব প্রতিপত্তির সাধনা।