‘মুখে খুব কোমল ভাব, আমাকে দেখতে ভাল নয়’, নিজের চেহারা ও ব্যক্তিত্ব নিয়ে আক্ষেপ ছিল সতীশের?

সতীশ শাহের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন বলিউড। অসংখ্য ছবি ও ধারাবাহিকে কাজ করেছিলেন তিনি। কৌতুকাভিনেতা হিসেবেও প্রশংসা পেয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু এক সাক্ষাৎকারে নিজেকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, “আমাকে দেখতে ভাল নয়”।

দেহের গড়ন ও চেহারা নাকি কাজের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সতীশ শাহের! এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা নিজেই জানিয়েছিলেন অভিনেতা। তিনি বলেছিলেন, “সাদাকালো ছবিতে একজন অভিনেতাকে কেমন দেখতে, সেটা বিচার করেই আগে সুযোগ দেওয়া হত। এই পদ্ধতি আমাকে খুব একটা সাহায্য করেনি। আমাকে দেখতে ভাল নয়। নায়কসুলভ মুখও আমার নেই। আমি জানতাম, আমি পরবর্তী শাম্মি কপূর হতে পারব না। যদিও আমি কখনওই সেটা হওয়ার কথা ভাবিনি।”

পুণে ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন সতীশ। ওকান থেকে বেরোনর পরে মানুষের কাছ থেকে সম্মান পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু ভাল কাজ পাননি। সতীশ বলেছিলেন, “যখন বলতাম, আমি কোথা থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছি, একটুআধটু সম্মান পেতাম ঠিকই। তবে ওইটুকুই! এর চেয়ে বেশি কোনও সুবিধা পাইনি।” পুণের ছাত্র শুনে এক প্রযোজক অনুমান করেছিলেন, সতীশ পরিচালনা বা সম্পাদনা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। আশা করেননি, তিনি অভিনেতা হতে চান। প্রযোজক কিছুটা হতাশ হয়েই নিজের কিছু ছবি রেখে যেতে বলেছিলেন তাঁকে। কিন্তু সতীশ রাজি হননি। কারণ তিনি জানতেন, প্রযোজকের থেকে আর কোনও ডাক আসবে না।

নিজের চেহারা প্রসঙ্গে সতীশ বলেছিলেন, “আমি খুবই লম্বা-চওড়া ছিলাম, যা কৌতুকাভিনেতা হিসাবে মানানসই নয়। আবার আমার মুখে একটা কোমল ভাব আছে, যা একেবারেই খলনায়কের মতো নয়। আর নায়ক হওয়ার মতো রূপ আমার ছিল না। যখনই প্রযোজকদের সঙ্গে দেখা করতে যেতাম, ওঁরা ভাবতেন আমি ক্যামেরার পিছনের মানুষ। আমার চেহারা ও ব্যক্তিত্বই কাজের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।”

যদিও শেষ পর্যন্ত অভিনেতা হিসেবে সিনেমায় ও টিভি ধারাবাহিকে দারুণ অসামান্য ও সম্মান পেয়েছেন সতীশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.