পুরনো দলের এক ক্রিকেটারের গলা চেপে ধরেছিলেন আউট হওয়ার পর। সেই ঘটনা নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। অবশেষে ক্ষমা চাইলেন পৃথ্বী শ। মুশিরের কাছে গিয়েই ক্ষমা চেয়েছেন। বিষয়টি মিটে গিয়েছে বলেই দাবি সংশ্লিষ্ট এক সূত্রের। আর কোনও ঝামেলা নেই দুই ক্রিকেটারের মধ্যে।
রঞ্জির আগে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মুম্বই এবং মহারাষ্ট্র। খেলার তৃতীয় দিন মহারাষ্ট্রের ওপেনার আর্শিন কুলকার্নি আউট হওয়ার পর পৃথ্বী নিজেই এগিয়ে যান মুশিরের দিকে। তাঁর কাধে হাত দেন। কিছু ক্ষণ পরে পৃথ্বীর কোমরে হাত দেন মুশির। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ বন্ধুত্বপূর্ণ কথা হয়।
‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’কে এক সূত্র বলেছেন, “পৃথ্বী নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। তাই মুশিরের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছে। পৃথ্বী বলেছেন, ‘আমি তোমার বড় ভাইয়ের মতো’। তাই দু’জনের মধ্যে এখন সব ঠিক আছে।”
পৃথ্বী এবং মুশিরের দাদা সরফরাজ় ছোটবেলা থেকেই বন্ধু। অনেক দিন একে অপরকে চেনেন। রিজ়ভি স্প্রিংফিল্ড স্কুলে একে অপরের সতীর্থ ছিলেন। মুম্বইয়ের হয়েও একসঙ্গে খেলেছেন। দু’জনের একসঙ্গে প্রচুর জুটি রয়েছে।
উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার পৃথ্বী এখন খেলেন মহারাষ্ট্রের হয়ে। তিন দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সেখানেই ঝামেলা লেগেছিল পৃথ্বী এবং মুশিরের। পুরনো দলের বিরুদ্ধে শতরান করে একটু বেশিই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন পৃথ্বী।
‘ক্রিকবাজ়’ ওয়েবসাইটের দাবি, ঘটনাটি ঘটে পৃথ্বী আউট হওয়ার পর। তখন মহারাষ্ট্রের স্কোর ৪৩০ রানে ৩ উইকেট। মুশিরের বলে ইরফান উমেরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পৃথ্বী। আউট হওয়ার পরেই মুশির পৃথ্বীর দিকে তাকিয়ে বলেন, “ধন্যবাদ।”
এতেই রেগে যান পৃথ্বী। তিনি তেড়ে আসেন মুশিরের দিকে। তাঁর কলার চেপে ধরেন। আর একটু হলেই ব্যাট দিয়ে মারতে যাচ্ছিলেন। দুই আম্পায়ার এসে সরিয়ে দেন পৃথ্বীকে। তিনি যাতে কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই সাজঘরে ফিরতে পারেন তার ব্যবস্থাও করেন দুই আম্পায়ার।