উত্তর-পূর্ব সফর সেরে বাংলায় এলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, সোমবার ‘যৌথ সেনাপতি সম্মেলনের’ উদ্বোধন করবেন বিজয় দুর্গে

‘যৌথ সেনাপতি সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধন করতে কলকাতায় এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার থেকে কলকাতার বিজয় দুর্গে (সাবেক ফোর্ট উইলিয়াম) শুরু হচ্ছে তিন দিনের সেনাপতি সম্মেলন। তিন বাহিনীর প্রধান-সহ পদস্থ এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্তারা উপস্থিত থাকবেন এই সম্মেলনে। ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন শাখার মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের বিষয়ে সর্বোচ্চ স্তরের মত বিনিময় হবে এই সম্মেলনে।

রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কেন্দ্রীয় শিক্ষা এবং উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তাঁকে স্বাগত জানান। গত দু’দিন প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্ব ভারত সফরে ছিলেন। শনিবার তাঁর কর্মসূচি ছিল মিজ়োরাম ও মণিপুরে। আর রবিবারের প্রথমার্ধ কাটিয়েছেন অসমে। সেখান থেকেই সন্ধ্যায় এসেছেন কলকাতায়। রবিবার রাতে রাজভবনে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সকালে বিজয় দুর্গে উদ্বোধন করবেন দেশের তিন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কর্তাদের সর্বোচ্চ স্তরের সম্মেলনের।

মোদী সরকারি সফরে এলেও তাঁর সফরকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের বাইরে ঢাক-ঢোল নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। দলের কর্মী-সমর্থকদের এই উৎসাহ দেখে গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান মোদীও।

গত ৮ সেপ্টেম্বরই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, কলকাতায় আয়োজিত এই সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী মোদী করবেন। সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং তিন বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (সিডিএস) অনিল চৌহান। তা ছাড়া প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা সচিব এবং অন্য কয়েকটি মন্ত্রকের সচিবদেরও এই সম্মেলনে থাকার কথা।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়, এ বারের ‘যৌথ সেনাপতি সম্মেলনে’ মূল আলোচনা হবে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীতে ‘সংস্কার, রূপান্তর ও পরিবর্তন’ সংক্রান্ত বিষয়ে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে আরও বেশি করে কাজে লাগিয়ে ভারতীয় বাহিনীর সক্ষমতাকে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, তিন বাহিনীর মধ্যে আরও গভীর সমন্বয় গড়ে তোলা, প্রয়োজনে বাহিনীগুলিতে কাঠামোগত সংস্কার করা— এ সব বিষয় নিয়েই এ বারের সম্মেলনে আলোচনা হবে।

দেশের সামরিক ও নাগরিক নেতৃত্বের এই সর্বোচ্চ স্তরের সম্মেলন শুরু হওয়ার আগের সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় এলেন। রাতে তিনি রাজভবনে থাকবেন। সকালে সেখান থেকেই যাবেন বিজয় দুর্গে। প্রধানমন্ত্রীর আগেই কলকাতায় এসেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ। তিনি রবিবার রাতে বিজয় দুর্গেই থাকছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.