কোন প্রশ্নের কী উত্তর? প্রাথমিক টেটের উত্তরপত্র প্রকাশ করল পর্ষদ। কোনও উত্তরে আপত্তি থাকলে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। সময়সীমা ১৩ থেকে ১৭ জানুয়ারি।
২০১৭-র পর ২০২২। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর নজিরবিহীন নিরাপত্তায় রাজ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে টেট। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৭ লক্ষের কাছাকাছি। যা আগেরবারের তুলনায় তিনগুণ বেশি! মোটের পর নির্বিঘ্নেই মিটেছে পরীক্ষা। প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ছিল ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পরীক্ষার্থীরা তো বটেই, পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষকদেরও মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পর্ষদ।
এর আগে, ২০১৪ সালে প্রাথমিকে টেট ৬টি প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থী। স্রেফ ক্ষতিপূরণ নয়, মামলাকারীদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরীক্ষা নেওয়ার একমাসের মধ্য়েই এবার উত্তরপত্র প্রকাশ করল পর্ষদ।
কেন? পর্ষদ সূত্রে খবর, নিজেদের উত্তরপত্রের কপি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন টেট পরীক্ষার্থীরা। পর্ষদের ওয়েবসাইটে যে উত্তরপত্র আপলোড করা হয়েছে, সেই উত্তরপত্রের সঙ্গে নিজের উত্তরপত্রটি মিলিয়ে দেখতে পারবেন তাঁরা। যদি কোনও পরীক্ষার্থীর মনে হয়, পর্ষদের উত্তরপত্র কোনও প্রশ্নের উত্তর ভুল আছে, সেক্ষেত্রে ১৩ থেকে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। ফি, ৫০০ টাকা। শুধু তাই নয়, পরীক্ষার্থীর দাবি সঠিক প্রমাণিত হলে, অবশ্য টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমার পর আর কোনও প্রশ্নের উত্তর চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। টেটের রেজাল্টই চূড়ান্ত বলে গণ্য় হবে।