১১ বছর পর আইপিএলের প্লে-অফে উঠেছে পঞ্জাব কিংস। শেষ যে বার তারা প্লে-অফে উঠেছিল (সে বার ফাইনালও খেলেছিল পঞ্জাব) সে বারই প্রথম আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কোচের দায়িত্ব সামলেছিলেন রিকি পন্টিং। ১১ বছর পর সেই পন্টিংয়ের কোচিংয়েই আবার প্লে-অফে পঞ্জাব। এ বারের সাফল্যের কৃতিত্ব দলের ‘আনক্যাপড’ ক্রিকেটারদের দিয়েছেন কোচ পন্টিং। অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার, অভিজ্ঞ যুজবেন্দ্র চহল, অর্শদীপ সিংহদের থেকেও তাঁদের বেশি কৃতিত্ব দিচ্ছেন পঞ্জাবের কোচ।
এ বারের আইপিএলে শ্রেয়স আয়ারকে অধিনায়ক করেছে পঞ্জাব। এই শ্রেয়স গত বার কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। শ্রেয়সের সঙ্গে পন্টিং আগেও দিল্লি ক্যাপিটালসে কাজ করেছেন। দু’জন দু’জনকে ভাল ভাবে চেনেন। দলের বিদেশি ক্রিকেটারেরাও ফর্মে রয়েছেন। কিন্তু পন্টিংয়ের মনে ধরেছে ‘আনক্যাপড’ ক্রিকেটারদের। গত ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে পঞ্জাবের ১১ জন ক্রিকেটারের মধ্যে ছ’জন ‘আনক্যাপড’ (প্রিয়াংশ আর্য, প্রভসিমরন সিংহ, নেহাল ওয়াধেরা, শশাঙ্ক সিংহ, হরপ্রীত ব্রার, বিজয়কুমার বৈশাখ) ছিলেন। তাঁরা দেখিয়েছেন, কতটা প্রতিভাবান তাঁরা।
‘আনক্যাপড’ ক্রিকেটারদের কথা শোনা গিয়েছে পন্টিংয়ের কথায়। তিনি বলেন, “আমাকে যখন কোচের দায়িত্ব দেওয়া হল তখন থেকেই আমার পরিকল্পনা স্পষ্ট ছিল। আমরা দু’জনকে ধরে রেখেছিলাম। তা-ও আনক্যাপড। অনেকে সমালোচনা করেছিল। এখন সকলে বুঝতে পারছে আমরা ঠিক ছিলাম। গত ম্যাচে ছ’জন আনক্যাপড খেলেছে। ওরাই আমাদের জেতাচ্ছে। আমাদের এই সাফল্যের প্রধান কারণ দলের আনক্যাপড ক্রিকেটারেরা।”
কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর পন্টিং স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, দলের সব ক্ষমতা তাঁর হাতে থাকবে। কেউ নাক গলাবেন না। তিনিই সব সিদ্ধান্ত নেবেন। সেই স্বাধীনতা পেয়েছেন পন্টিং। তিনি বলেন, “দল নিয়ে সব সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি। সাপোর্ট স্টাফ থেকে শুরু করে নিলামে ক্রিকেটার কেনা, সব আমার কথায় হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম তরুণ ঘরোয়া ক্রিকেটারের পাশাপাশি অভিজ্ঞ বিদেশি নিতে। সেই পরিকল্পনায় আমরা সফল। তাই তো গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, লকি ফার্গুসনদের খারাপ ফর্মের পরেও আমাদের কোনও সমস্যা হয়নি। সব শেষে বলব অধিনায়ক শ্রেয়সের কথা। ও দুর্দান্ত।”
পঞ্জাবের হয়ে ভাল খেলা প্রিয়াংশ, প্রভসিমরনেরা আগামী দিনে ভারতীয় দলে খেলতে পারেন বলে বিশ্বাস পন্টিংয়ের। তিনি বলেন, “প্রিয়াংশকে নেওয়ার আগে ওর অনেক ভিডিয়ো দেখেছি। যত দেখেছি অবাক হয়েছি। আইপিএলে আনক্যাপড ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান প্রভসিমরনের। ওয়াধেরা ও শশাঙ্ক কী করতে পারে তা সকলে দেখেছে। হরপ্রীতও দারুণ বল করেছে। ওরা সকলেই আগামী দিনে ভারতীয় দলে খেলতে পারে।”
মুম্বইয়ের কোচ হিসাবে আইপিএল জিতেছেন পন্টিং। দিল্লিকে ফাইনালে তুললেও জিততে পারেননি। এ বার আরও এক বার আইপিএল জেতার চেষ্টায় তিনি। তেমনটা হলে তিনিই হবেন একমাত্র কোচ যিনি দু’টি আলাদা দলকে আইপিএল জেতাবেন। তরুণ ‘আনক্যাপড’ ক্রিকেটারদের নিয়ে সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন পন্টিং।