ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরে বাড়িতে ঢুকে এক মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল মাওবাদীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বাসগুড়া থানার অন্তর্গত তিমাপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ঘরের মধ্যে থেকে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় তারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, রাতে আচমকাই কয়েক জন মাওবাদী লক্ষ্মী পদম নামে এক মহিলার বাড়িতে ঢুকে পড়েন। তার পর পরিবারের সকলের সামনেই তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। মৃতা মহিলা অঙ্গনওয়াড়িতে কাজ করতেন। খুনের পর দেহ বাড়ির কাছে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান মাওবাদীরা।
কেন লক্ষ্মীকে খুন করা হল? প্রাথমিক অনুমান, মৃতাকে পুলিশের ‘চর’ হিসাবে সন্দেহ করেছিলেন মাওবাদীরা। সেই সন্দেহ থেকেই শুক্রবার রাতে তাঁর বাড়িতে এসে লক্ষ্মীকে খুন করা হয়। দেহের পাশ থেকে একটি লিফ্লেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই কাগজে লক্ষ্মীকে পুলিশের গুপ্তচর বলে উল্লেখ করা ছিল বলেই সূত্রের খবর। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মাওবাদীদের খোঁজে বস্তারের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। চলতি বছরে এই নিয়ে শুধু বস্তার ডিভিশনেই ৬০ জন খুন হয়েছেন মাওবাদীদের হাতে।
প্রসঙ্গত, মাওবাদী উপদ্রুত বস্তারের বিভিন্ন জেলার লোকসভা ভোটের পর থেকেই যৌথ বাহিনীর মাওবাদী দমন অভিযান শুরু হয়েছে। সমান্তরাল ভাবে পিএলজিএ যোদ্ধারাও কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ট্যাকটিক্যাল কাউন্টার অফেন্সিভ ক্যাম্পেন’ (টিসিওসি) চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দু’তরফের সংঘর্ষে বেশ কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বিজাপুর, কাঁকের, দন্তেওয়াড়া, নারায়ণপুরের মতো জেলাগুলিতে। তবে তার মধ্যেই পুলিশের ‘চর’ সন্দেহে একের পর এক খুন করার অভিযোগ উঠছে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে।