কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ছবিতেও আগুন! বহিষ্কৃত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা, ভেঙে দেওয়া হল কলেজের ইউনিটই

বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা। সেই কর্মসূচিতে পোড়ানো হচ্ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছবি। সেই সময় আগুন লাগানো হয়েছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিতেও! মালদহের কলেজের সেই ঘটনায় এ বার পদক্ষেপ কর তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

যিনি রবীন্দ্রনাথের ছবিতে আগুন লাগিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হল সোমবার। অভিযুক্তের নাম এবি সোয়েল। একই সঙ্গে মালদহের কলেজে ছাত্র পরিষদের ইউনিট ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নেতৃত্ব।

ছাত্র পরিষদের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা সর্বদা দেশের মহামনীষী, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল। সংগঠনের নীতি ও মূল্যবোধের পরিপন্থী কোনও কাজকে কখনওই বরদাস্ত করা হবে না। পাশাপাশি বাংলার স্বার্থবিরোধী ও বিজেপির বিদ্বেষমূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’’

ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলে দিয়েছিল সেনা। সেই ঘটনার বিরুদ্ধেই মালদহের চাঁচল কলেজে প্রতিবাদে নেমেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কলেজের সামনে বাংলার মনীষীদের ছবি হাতে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সংগঠনের সদস্যেরা। তার মাঝেই মোদী-শাহের ছবি পোড়াতে গিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পুড়িয়ে দেন। যদিও বিষয়টি নজরে আসতেই আগুন নিবিয়ে দেন তাঁরা।

কিন্তু ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে গিয়েছে! বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করার নামে কর্মসূচি করতে গিয়ে চরম লজ্জাজনক কাজ করেছে। এটাই তৃণমূলীদের আসল চেহারা। এটাই কি তৃণমূলের বাঙালি ‘অস্মিতা’? এটাই কি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তথাকথিত বাঙালি প্রেম?’’

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায় বলেন, ‘‘আমরা ছোটবেলা থেকেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা-গান পড়ে মানুষ হয়েছি। যদি কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন, ভুলবশত হলেও যদি কেউ এ কাজ করেন, আমরা পদক্ষেপ করব।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.