Paschim Burdwan Arrest: রাজ্যে নয়া জঙ্গি মডিউল? পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় STF-র জালে ‘লিঙ্কম্য়ান’!

 রাজ্যে ফের বাংলাদেশি জঙ্গি মডিউল? পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় STF-র জালে সন্দেহভাজন জঙ্গির গোষ্ঠী চাঁই! তার ল্যাপটপ ও মোবাইলে পাওয়া গেল একাধিক নথি। ধৃতকে ১৪ দিনের STF হেজাতের নির্দেশ দিল আদালত।

STF সূত্রে খবর, ধৃতের নাম মহম্মদ হাবিবুল্লাহ। বাড়ি, কাঁকসার মীরেপাড়ায়। মানকর কলেজের কম্পিউটার সায়ান্স বিভাগের এই ছাত্রটি বাংলাদেশের শাহদাদ জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। আমির পদে ছিল সে। স্রেফ সোশ্য়াল মিডিয়ায় তথ্য আদান-প্রদানই নয়, জঙ্গি গোষ্ঠীতে নিয়োগের কাজ করত হাবিবুল্লা। কতজনকে নিয়োগ? নাশকতার পরিকল্পনাও কি ছিল? তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

গতকাল, শনিবার কাঁকসার মীরেপাড়ায় হাবিবুল্লার বাড়িতে যৌথভাবে অভিযান চালায়  এস টি এফ ও কাঁকসা থানার পুলিশের। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়  হাবিবুল্লাকে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

STF সূত্রে খবর, ভারতের বাংলাদেশে জঙ্গি গোষ্ঠী আনসার আল ইসলামের বিরুদ্ধে  ৩ মামলা রয়েছে। সংগঠনের নেতা শাহদাদকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিস। এরপর তাঁর নামেই তৈরি হয় নয়া জঙ্গি মডিঊল। এরপর ধীরে ধীরে বাংলাদেশের সংগঠন বিস্তার করে এই জঙ্গি গোষ্ঠী।  ২৩ মে বাংলাদেশে গ্রেফতার শাহদাদ মডিউলের ৩ চাঁই। তালিকায় সংগঠনের রিক্রুটমেন্ট হেডও।

কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে?  বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই মহূর্তে ভারত বিরোধী কার্যকলাপের অন্য়তম আশ্রয়স্থল হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ।  বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষিত হওয়ার পর, নেপাল ভুটান হয়ে কোচবিহার দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গিরা পৌঁছচ্ছে। মডিউলের সঙ্গে বেড়ে গিয়েছে। এর আগেও জঙ্গি যোগ পাওয়া গিয়েছে’।

শমীকের দাবি, ‘হুজির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং সিমি-র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিকে  যদি শাসকদল রাজ্যসভায় পাঠায়, তাহলে তার পরিণতি  কোথায় যেতে পারে, প্রত্যেকের জানা। যে দল পরিবর্তনের সময় হিজি সাহায্য নিয়েছে, সিমি-র সাহায্য় নিয়েছে, মাওবাদীদের হাত মিলিয়েছে। থে যতই নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন, সুচিত্রা মাহাতের টোপে কিষাণজীকে মেরে দিন, সব সমস্যা সমাধান এভাবে হবে না’।

তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের পাল্টা দাবি, ‘জঙ্গি, বাংলাদেশের যারা, তারা পশ্চিমবঙ্গকে কেন লক্ষ্য করে সেটা বিজেপিকে বুঝতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেই বুঝতে পারত। তাঁদের বেশভূষা, ভাষা সব একরকম বলে  লুকিয়ে থাকতে মিডউল তৈরি করতে সুবিধা হয়।এটা হচ্ছে ভারতবিরোধী সংগঠন, পশ্চিমবঙ্গ বিরোধী সংগঠন নয়। এখানকার বিজেপি যদি এটা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিরোধী কথা বলে, তাহলে বোঝা যাবে, রাজনীতি করছে। বোঝা যাবে, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি আসলে জঙ্গিদের সাহায্য করার জন্য় এসব কথা বলছে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাহলে জঙ্গিদের যোগাযোগই প্রমাণিত হবে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাহলে জঙ্গিদের যোগাযোগই প্রমাণিত হবে’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.