জলে গেল পন্থের শতরান, কোহলিদের জয়ে আইপিএলের প্লে-অফের সূচি চূড়ান্ত, প্রথম কোয়ালিফায়ারে দুই দল কারা

শতরান করেও জিততে পারলেন না ঋষভ পন্থ। সেই হেরেই মাঠ ছাড়তে হল তাঁকে। আইপিএলের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথমে ব্যাট করে ২২৭ রান করেছিল লখনউ। বিরাট কোহলি ও এই ম্যাচে বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক জিতেশ শর্মার ব্যাটে সেই রান তাড়া করে জিতল বেঙ্গালুরু। কোহলিদের এই জয়ের পর আইপিএলের প্লে-অফের সূচি চূড়ান্ত হয়ে গেল। অর্থাৎ, প্লে-অফে কার বিরুদ্ধে কে খেলবে তা নিশ্চিত হয়ে গেল।

আইপিএলের গ্রুপ পর্বের শেষ হওয়ার আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল কোন চার দল প্লে-অফ খেলবে। পঞ্জাব কিংস, গুজরাত টাইটান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাদের জায়গা পাকা করে নিয়েছিল। বেঙ্গালুরু-লখনউ ম্যাচের পর পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে শেষ করল পঞ্জাব। গত বার কেকেআরকে শীর্ষে তুলেছিলেন শ্রেয়স আয়ার। পঞ্জাবের হয়েও সেই কীর্তি করলেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করল বেঙ্গালুরু। তৃতীয় স্থানে গুজরাত। চার নম্বরে শেষ করল মুম্বই। অর্থাৎ, প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলবে পঞ্জাব ও বেঙ্গালুরু। এলিমিনেটর খেলবে গুজরাত ও মুম্বই।

প্রথম কোয়ালিফায়ার— শীর্ষে থাকা পঞ্জাব ও দু’নম্বরে থাকা বেঙ্গালুরু খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ার। ২৯ মে, বৃহস্পতিবার পঞ্জাবের মুল্লানপুরে হবে সেই ম্যাচ। প্রথম কোয়ালিফায়ার যারা জিতবে তারা সরাসরি আইপিএলের ফাইনালে উঠবে। যারা হারবে তারা ফাইনালে ওঠার আরও একটি সুযোগ পাবে।

এলিমিনেটর— তিন নম্বরে শেষ করা গুজরাত ও চার নম্বরে শেষ করা মুম্বই এই ম্যাচ খেলবে। ৩০ মে, শুক্রবার হবে সেই ম্যাচ। এলিমিনেটরও হবে মুল্লানপুরে। এই ম্যাচ যারা হারবে তারা আইপিএল থেকে বিদায় নেবে। যারা জিতবে তাদের ফাইনালে উঠতে আরও একটা ম্যাচ খেলতে হবে।

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার— প্রথম কোয়ালিফায়ারের পরাজিত দল ও এলিমিনেটরের জয়ী দলের মধ্যে এই ম্যাচ হবে। ১ জুন, রবিবার হবে সেই খেলা। অহমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দু’দল। এই ম্যাচ যারা জিতবে তারা ফাইনালে উঠবে। যারা হারবে তারা আইপিএল থেকে বিদায় নেবে।

ফাইনাল— প্রথম ও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল উঠবে ফাইনালে। ৩ জুন, মঙ্গলবার হবে এ বারের আইপিএলের ফাইনাল। অহমদাবাদের মাঠেই হবে সেই খেলা।

লখনউয়ের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ জেতা সহজ ছিল না বেঙ্গালুরুর। আইপিএলের ইতিহাসে এটা তাদের সর্বাধিক রান তাড়া করে জয়। প্রথমে ব্যাট করে ২২৭ রান করে লখনউ। ৬১ বলে ১১৮ রান করেন পন্থ। এ বারের আইপিএলে প্রথম বার দেখা গেল পুরনো পন্থকে। মিচেল মার্শ করেন ৩৭ বলে ৬৭ রান। বিরতিতে মনে হচ্ছিল, শেষ ম্যাচ হারতে হবে বেঙ্গালুরুকে।

তবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে রান তাড়া করতে নামে বেঙ্গালুরু। দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও বিরাট কোহলি পাওয়ার প্লে কাজে লাগান। কোহলি ৩০ বলে ৫৪ রান করেন। এ বারের আইপিএলে বেঙ্গালুরুর মিডল অর্ডার খুব বেশি ম্যাচে রান পায়নি। এই ম্যাচে পেল। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও জিতেশ দলকে জেতালেন। মরসুমের শেষ দিকে পরিবর্ত হিসাবে দলে জায়গা পেয়েছেন মায়াঙ্ক। রজত পাটীদার চোট পাওয়ায় এই ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন জিতেশ। অধিনায়কের ইনিংস খেললেন তিনি। আইপিএলে প্রথম অর্ধশতরান করলেন জিতেশ। শেষ দিকে একের পর এক বড় ছক্কা মারলেন। আট বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতল বেঙ্গালুরু। মায়াঙ্ক ২৩ বলে ৪১ ও জিতেশ ৩৩ বলে ৮৫ রানে অপরাজিত থাকলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.