বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর স্বীকার করেছিলেন বছর তিনেক আগেই। চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত ভারতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে শুক্রবার জানালেন সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার পরে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বড় চ্যালেঞ্জ হল পাকিস্তানের ছায়াযুদ্ধের মোকাবিলা করা।’’
উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে একটি সভায়, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তৃতীয় এবং চতুর্থ চ্যালেঞ্জের উল্লেখও করেছেন সেনা সর্বাধিনায়ক। তাঁর মতে, এগুলি হল আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার মোকাবিলা এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিনির্ভর যুদ্ধের মোকাবিলার জন্য ধারাবাহিক প্রস্তুতি চালিয়ে যাওয়া। তাঁর কথায়, ‘‘মনে রাখতে হবে, এখন সাইবার দুনিয়া এবং মহাকাশও যুদ্ধক্ষেত্রের অন্তর্গত।’’ প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছিলেন মোদী। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকও করেছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তার পরেই এমন মন্তব্য এল সেনা সর্বাধিনায়কের তরফে।
চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ এবং পাকিস্তানের ছায়াযুদ্ধের সমস্যা যে আগামী দিনেও থাকবে, সে কথাও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন জেনারেল চৌহান। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দুই প্রতিপক্ষই পরমাণু শক্তিধর। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কী ধরনের পদক্ষেপ করতে চাই, তা নির্ধারণ করা সব সময়ই একটি চ্যালেঞ্জ।’’ ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিখুঁত পরিকল্পনা এবং তার সঠিক রূপায়ণ বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধকে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়ে বলেছিলেন, ‘‘সীমান্তের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলে নয়াদিল্লি-বেজিং সম্পর্কে সুস্থিতি আসবে না।’’