ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিঁদুর অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পাকিস্তানের নুর খান বায়ুসেনা ঘাঁটি। উপগ্রহ চিত্রে তা ধরা পড়েছিল। সেই নুর খান ঘাঁটি কি এ বার পুননির্মাণ করছে পাকিস্তান! সাম্প্রতিক একটি উপগ্রহচিত্রের ভিত্তিতে এমনটাই দাবি করেছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সে দেশের বায়ুসেনার ঘাঁটি নুর খান। কৌশলগত দিক থেকে পাকিস্তানের কাছে এই ঘাঁটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সূত্রের খবর, ১০ মে এই ঘাঁটিতে নির্দিষ্ট অংশে রাখা দু’টি ট্রাক লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হানা দেয় ভারতীয় বাহিনী। দু’টি ট্রাক এবং ওই অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানা গিয়েছে। ভারতের তরফে যদিও স্পষ্ট করা হয়নি, যে কোন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল। তবে সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, ওই ঘাঁটি লক্ষ্য করে ব্রহ্মস ছোড়া হয়ে থাকতে পারে।
উপগ্রহ চিত্রে ইঙ্গিত মিলেছিল, ১০ মে নুর খান ঘাঁটিতে দাঁড়িয়ে ছিল দু’টি ট্রাক। ভারতের অভিযানের পরে ওই দুই ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত বলে দেখা গিয়েছে। তার আশপাশের ভবনগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে। ১৭ মে যে উপগ্রহ চিত্র মেলে, তাতে দেখা যায়, নুর খান ঘাঁটির ওই অংশ ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর যে উপগ্রহ চিত্র মেলে, তা বিশ্লেষণ করে মনে করা হচ্ছে, ঘাঁটির ওই অংশে নির্মাণের কাজ চলছে। নতুন কিছু দেওয়াল তৈরি হয়েছে বলেও দেখা গিয়েছে। এই উপগ্রহ চিত্র থেকেই মনে করা হচ্ছে, নুর খান ঘাঁটির ওই অংশে নতুন করে নির্মাণ শুরু হয়েছে। এমনটা জানিয়েছেন, জিয়ো ইন্টালিজেন্স বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমন। তিনি আরও জানিয়েছেন, এখন নুর খানে নতুন যে নির্মাণ হচ্ছে, তার সঙ্গে সিঁদুর অভিযানের আগের নির্মাণের মিল রয়েছে। এমনও হতে পারে, অভিযানের পরে যে পরিকাঠামো অক্ষত থেকে গিয়েছে, তাকে ব্যবহার করেই নতুন নির্মাণ হচ্ছে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন। ওই ঘটনায় পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠীর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছিল। এর পরেই ৭ মে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে সিঁদুর অভিযান শুরু করে ভারত। পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালানোর চেষ্টা করলে তা ব্যর্থ করে ভারতীয় সেনা। অভিযানে পাকিস্তানের ছ’টি সামরিক ঘাঁটিতে হানা দেয় ভারত। তার মধ্যে একটি নুর খান বলে সাংবাদিক বৈঠক করে জানায় ভারত। ১০ মে সন্ধ্যায় ভারত এবং পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এ বার উপগ্রহ চিত্রে সেই নুর খান ঘাঁটিতে নির্মাণের প্রমাণ মিলল।