আবার বিদ্রোহী হামলার ঘটনা পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশে। সোমবার ওই প্রদেশের কালাত জেলায় মানববোমার হামলায় পাক আধাসেনা ফ্রন্টিয়ার কোরের এক জওয়ান নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন চার জন।
পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কালাতের মুঘলজাই এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর আধাসেনার টহলদারি বাহিনীর উপর এক মহিলা ফিদায়েঁ ওই হামলা চালান। কালাত জেলা প্রশাসক বিলাল শাব্বির জানিয়েছেন, হামলায় আহতদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, হামলার নেপথ্যে রয়েছে স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র বালুচ গোষ্ঠী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালের ১১ অগস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল দেশীয় রাজ্য কালাত। ১২ অগস্ট কালাতের শাসক মির সুলেমান দাউদ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেই স্বাধীনতার মেয়াদ ছিল মাত্র সাত মাস। ১৯৪৮-এর ২৭ মার্চ পর্যন্ত। বালুচিস্তানের মানুষের কাছে সেই দিনটা আজও যন্ত্রণার ‘পরাধীনতা দিবস’! সাত দশক আগে ওই দিনেই পাকিস্তানি সেনা দখল করেছিল বালুচিস্তান। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তৎকালীন শাসককে বাধ্য করেছিল পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হতে।
বালুচিস্তানের পরবর্তী ইতিহাস ফের নতুন স্বাধীনতার যুদ্ধের। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আর কয়েক হাজার মানুষের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার। ‘বালুচিস্তানের গান্ধী’ বলে পরিচিত স্বাধীনতাপন্থী নেতা আবদুল কাদির বালোচ বছর কয়েক আগে দিল্লি এসে বলেছিলেন, তাঁরা চান ১৯৭১-এ ভারত যে ভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল, সে ভাবেই পাশে দাঁড়াক বালুচিস্তানের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বালুচিস্তানের উপর পাক নিপীড়ন বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হওয়ার আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-সহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর বালুচ স্বাধীনতা যোদ্ধাদের মূল অভিযোগ পঞ্জাবি আধিপত্যের বিরুদ্ধে।