ক্রিকেট ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জয়ী এবং পরাজিত দুই অধিনায়কই কথা বলেন। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারও নিজের বক্তব্য রাখেন। অথচ রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আঘা এলেনই না কথা বলার জন্য। ভারতের আচরণের প্রতিবাদ করে তিনি এই কাজ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
ম্যাচের পর জয়ী এবং পরাজিত অধিনায়কের কথা বলাই রীতি। সাধারণত পরাজিত দলের অধিনায়কই আগে আসেন। তবে এশিয়া কাপে আগে যে ক’টি ম্যাচ হয়েছে, সেখানে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারকে আগে ডাকা হয়েছে। তার পর এসেছেন পরাজিত দলের অধিনায়ক।
তবে রবিবার সঞ্চালক সঞ্জয় মঞ্জরেকর ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার কুলদীপ যাদবের সঙ্গে কথা বলার পরেই সরাসরি ডেকে নেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে। আশেপাশে কোথাও দেখাও যায়নি সলমনকে। তাঁকে ডাকাও হয়নি। অতীতে কবে এমন ঘটনা ঘটেছে তা কেউই মনে করতে পারছেন না।
তখন বোঝা যায়নি সলমনের অনুপস্থিতির কারণ। ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন জানান, ভারত হাত মেলায়নি বলেই প্রতিবাদস্বরূপ সলমন সাক্ষাৎকার দেননি। হেসন বলেছেন, “বিপক্ষ দলের এমন আচরণে আমরা হতাশ। যে ভাবে খেলেছি সেটা নিয়েও হতাশ। আমরা চেয়েছিলাম ওদের সঙ্গে হাত মেলাতে। সেটা হয়নি। তাই জন্যই সলমন আসেনি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কথা বলতে। খুব হতাশাজনক ভাবে ম্যাচটা শেষ হল।”
পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কারণে এই ম্যাচের উত্তাপ ছিল মাঠের বাইরেও। অনেকেই এই ম্যাচ বয়কট করতে বলেছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন হরভজন সিংহের মতো প্রাক্তনেরাও।