জম্মুর পাশাপাশি রাজস্থান, পঞ্জাবের একাংশেও বৃহস্পতিবার রাতে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তানে। সেখানে ছুটে আসছে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র, মর্টার। পাকিস্তানের হামলা শুরু হতেই ওই তিন রাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে আলো। পঞ্জাবের রাজধানী চণ্ডীগড়ে বাজানো হচ্ছে সাইরেন। গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তাঁকে ফোন করছেন ভারতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সঙ্গে রয়েছেন প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধান (সিডিএস) অনিল চৌহান। পিছিয়ে নেই ভারতীয় সেনাবাহিনী। পাকিস্তানের লাহোর, শিয়ালকোটে পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে পাঠানকোট। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রবেশদ্বার হল এই শহর। সেখানে বৃহস্পতিবার রাতে ছুটে আসে একের পর এক পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করা হয় শহরের সব আলো। পাক সীমান্ত সংলগ্ন পঞ্জাবের অমৃতসরেও ‘ব্ল্যাক আউট’ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার নাগরিকদের আলো নিভিয়ে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ‘ব্ল্যাক আউট’ করা হয়েছে গুজরাতের কচ্ছে। এই এলাকা পাকিস্তান সীমান্তের কাছে।
পাক সীমান্ত সংলগ্ন রাজস্থানেও ছুটে আসে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র। ওই রাজ্যের পোখরানে পাকিস্তানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করেছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ সুদর্শন চক্র। রাজস্থানের ফালোড়ি বায়ুসেনা ঘাঁটির ২০ কিলোমিটার দূরে একটি পাকিস্তানি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছে ভারতীয় সেনা।
জম্মু ও কাশ্মীরেও পাকিস্তানের ছোড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সেখানকার রাজৌরিতে পর পর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জম্মু ও কাশ্মীরের সব সেনাঘাঁটিতে আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উরি সেক্টর লক্ষ্য করে ক্রমাগত ধেয়ে আসছে মর্টার। এর মধ্যে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে।