ঠিক এক বছর আগে, ২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। বার্বাডোজ়ের ফাইনালে টান টান ম্যাচে সাত রানে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এক বছর আগের সেই ম্যাচের খুঁটিনাটি মুহূর্ত এখনও মনে রয়েছে রোহিত শর্মার। বিরাট কোহলির ইনিংস, সূর্যকুমারের যাদবের ক্যাচ নিয়ে এখনও আবেগপ্রবণ রোহিত। এক সাক্ষাৎকারে সে সব কথা তুলে ধরেছেন ভারতের প্রাক্তন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
‘জিয়োহটস্টারে’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোহিত জানিয়েছেন, শেষ ওভারে সূর্যের নেওয়া ক্যাচই ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। বলেছেন, “ক্যাচের পর মাঠের আম্পায়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দিয়েছিলেন তৃতীয় আম্পায়ারকে। সূর্য ক্যাচটা ধরেছিল কি না, সেটা পরীক্ষা করা হচ্ছিল। আমাদের হৃৎস্পন্দন প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল সেই সময়। আমি ভেবেছিলাম বলটা বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। কারণ আমি লং অফে ছিলাম। সূর্যের ডান দিকে দাঁড়িয়ে ঘটনাটা স্পষ্ট দেখতে পেয়েছিলাম।”
হার্দিক পাণ্ড্যের বলে ছয় মারতে গিয়েছিলেন ডেভিড মিলার। বাউন্ডারির ধারে দাঁড়িয়ে সূর্য বলটি তালুবন্দি করলেও ভারসাম্য রাখতে পারেননি। বলটি মাঠে ছুড়ে দেন। তার পরে মাঠের ভিতরে ঢুকে ক্যাচ নেন।
রোহিত আরও বলেন, “আমি শটটা দেখার পরেই ভেবেছিলাম সব শেষ। ওদের পাঁচ বলে আর ১০ রান দরকার। কিন্তু সূর্যের হাতে বলটা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ওই ক্যাচ ধরতে গেলে অসাধারণ ক্ষমতার দরকার ছিল। আকাশে থাকার সময় দেখে মনে হয়েছিল অনায়াসে বাউন্ডারি পেরিয়ে যাবে। হয়তো হাওয়ার কারণে বলটা মাঠের ভেতরেই পড়ছিল। আম্পায়ার ক্যাচ পরীক্ষা করার সময় বলছিলাম, ‘সূর্য, আমাকে দেখে বল কী হচ্ছে। আমি ও দিকে (বড় পর্দা) তাকাতে চাই না। সূর্য বলল, ক্যাচ ধরে নিয়েছি’। আসলে ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে সূর্য বাকিদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে থাকবে। ওকে ক্যাচ ফেলতে খুব একটা দেখিনি।”
ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতার সেই ম্যাচে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। রোহিতের মতে, অভিজ্ঞতার কারণেই চাপের মুখে ওই খেলতে পেরেছিলেন কোহলি। রোহিতের কথায়, “ভারতের হয়ে এত দিন খেলার অভিজ্ঞতা সত্যিই কাজে লাগে। আপনি আবেগ, ভাবনাচিন্তা নিয়ন্ত্রণ করে খেলতে পারেন। আমি নিশ্চিত ও সেই সময় সেটাই ভাবছিল।”
ওই ম্যাচে হার্দিকের তিনটি উইকেট এবং অক্ষর পটেলের ৪৭ রানের ইনিংসও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। রোহিতের কথায়, “শুরুতেই তিনটে উইকেট হারানোর পর সাজঘরে সকলে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। ধরে নিয়েছিলাম, ম্যাচটা হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। তবে মনের মধ্যে এটাও চলছিল যে, আমাদের লোয়ার অর্ডার বিশ্বকাপে খুব একটা ব্যাট করার সুযোগ না পেলেও যত বার পেয়েছে, কাজে লাগিয়েছে। ফাইনালেও সেটাই হয়েছিল।”