রঞ্জি ট্রফির ফাইনালের প্রথম দিনের শেষে সৌরাষ্ট্র পিছিয়ে ৯৩ রানে। হাতে রয়েছে ৮ উইকেট। মাত্র ১৭৪ রানে শেষ হয়ে যাওয়া বাংলার অধিনায়ক মেনেও নিলেন যে, প্রথম দিনটা তাঁদের নয়। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল নীরবে ইডেন ছাড়লেন। সৌরাষ্ট্রের কোচ নীরজ ওদেদরা শুনিয়ে গেলেন বাংলা কোথায় ভুল করেছে।
বৃহস্পতিবার ম্যাচের প্রথম ওভার থেকেই সৌরাষ্ট্রের দাপট শুরু হয়ে যায়। জয়দেব উনাদকটের বলে আউট হয়ে যান অভিমন্যু ঈশ্বরন। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আরও দুই ব্যাটার আউট। শাহবাজ় আহমেদ এবং অভিষেক পোড়েল অর্ধশতরান করায় ১৫০ রান পার করে বাংলা। নয়তো একটা সময় মনে হচ্ছিল বাংলা হয়তো ১০০ রানও করতে পারবে না। যে পিচে বাংলার ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারলেন না, সেই পিচেই ১৭ ওভার ব্যাট করে ৮১ করে সৌরাষ্ট্র। এমন দিনের শেষে বাংলার কোচ লক্ষ্মী ইডেন ছাড়ার সময় বললেন, “কাল কথা বলি।”
বাংলা শিবিরের তরফে মনোজের বিবৃতি পাঠানো হয়। সেখানে বাংলার অধিনায়ক বলেন, “সত্যিই দিনটা আমাদের ছিল না। আশা করছি দ্বিতীয় দিনে ফিরে আসতে পারব। টস বড় ফ্যাক্টর হয়ে গেল। কিন্তু সেটা তো আর আমাদের হাতে নেই। ব্যাটাররা সকালে খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, দিনের শেষে আমরা বেশ কিছু রান গলিয়ে ফেলেছি। আগামী কাল নতুন ভাবে শুরু হবে। উইকেট নেওয়ার মতো ৮টা বল করতে হবে। রান দেওয়া চলবে না। ম্যাচের এখনও অনেক বাকি। অনেক কিছু হতে পারে। শাহবাজ় এবং অভিষেক ভাল ব্যাট করেছে।”
সৌরাষ্ট্র কোচ ওদেদরা যদিও সাংবাদিক বৈঠকে এলেন। তিনি বললেন, “দিনটা আমাদের পক্ষে গিয়েছে। পিচে ঘাস কতটা আছে সেটা ব্যাপার নয়, আর্দ্রতা আছে কি না সেটাই আসল। আমার মনে হয় কাল দুপুর পর্যন্ত আর্দ্রতা থাকবে। আমাদের বোলাররা ঠিক জায়গায় বল করে গিয়েছে, তাতেই সাফল্য পেয়েছি।” নিজের মুখে না বললেও সৌরাষ্ট্র কোচ বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন যে আকাশ দীপ, ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমাররা ঠিক জায়গায় বলটাই রাখতে পারেনি। ম্যাচে সেটাই দেখা গিয়েছে বার বার। আকাশ দীপ যে বলটাতে উইকেট নেন, সেটাই ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে। ব্যাটার জয় গোহিল সেই বল ব্যাট দিয়ে টেনে আনেন উইকেটে। সৌরাষ্ট্রের বোলাররা ১৭ ওভারে ৮১ রান করেন সহজেই।
শেষ ২ ওভারে মুকেশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে শুরু করেছিলেন। সেটাই বাংলার জন্য ভরসার দিক। শুক্রবার সকালে দ্রুত উইকেট নিতে হবে বাংলাকে, না হলে ম্যাচ হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। বাংলা যদিও একাধিক বার প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতার পর ফিরে এসেছে। ইডেনের সমর্থকরা চাইবেন লক্ষ্মীর বাংলার থেকে তেমনই একটা লড়াই দেখতে।