ছাত্রীর গায়ে আগুন! লজ্জায় মুখ দেখানো ভার! কড়া ভাষায় তুলোধনা সুপ্রিম কোর্টের। যৌন হয়রানির অভিযোগে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তার কারণে ওড়িশার বালাসোরের ২০ বছর বয়সী বি.এড ছাত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা (Odisha self-immolation) করার ঘটনাটিকে সুপ্রিম কোর্ট “লজ্জাজনক” বলে বর্ণনা করেছে। একইসঙ্গে স্কুলছাত্রী, গৃহিণী ও গ্রামীণ এলাকার শিশুদের ক্ষমতায়নের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সে সম্পর্ওকে পরামর্শ চাইল শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের মহিলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবীরা ঘটনাটি শীর্ষ আদালতের নজরে আনার পর এদিন বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ এই মন্তব্য করে। বেঞ্চ বলে, “আমরা লজ্জিত এবং দুর্ভাগ্যজনক যে এই ঘটনাগুলি এখনও ঘটছে। এটা কোনও পক্ষ- প্রতিপক্ষের মামলা নয়। আমাদের কেন্দ্র এবং সমস্ত পক্ষের কাছ থেকে পরামর্শ প্রয়োজন।”
প্রসঙ্গত, দিনের পর দিন কলেজ অধ্যাপকের যৌন নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার। আর সেই নির্যাতনের প্রতিবাদে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হয় ২০ বছরের ছাত্রী। ওড়িশার বালাসোর কলেজের ঘটনায় সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের অবিলম্বে বদলির সুপারিশ করেছিল ইন্টারনাল কমপ্লেইন্টস কমিটি। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ তা উপেক্ষা করেন।
নির্যাতিতার মৃত্যুর পরই হইচই শুরু হয় বিভাগীয় প্রধান সমীর রঞ্জন সাহুর (Sameer Ranjan Sahoo) বিরুদ্ধে উঠে আসা অভিযোগ নিয়ে। অভিযোগ, নির্যাতিতা কলেজের অভ্যন্তরীণ কমিটির কাছে প্রথম অভিযোগ করেন অধ্যাপক সাহুর যৌন হেনস্থা নিয়ে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বিভাগের কমপক্ষে ৬০ জন পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কমিটি। তারপরই আইসিসি অভিযুক্ত অধ্যাপক সমীর রঞ্জন সাহুর বিভাগীয় প্রধান পদ থেকে অপসারণ ও অবিলম্বে বদলির সুপারিশ করে।
৯ জুলাই অধ্যক্ষ দিলীপ ঘোষের কাছে কমিটি বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করে। সেইসঙ্গে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিত যত দ্রুত সম্ভব অ্যাকশন নেওয়ার সুপারিশ করে। কিন্তু অধ্যক্ষ দিলীপ ঘোষ সেই রিপোর্টকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে অভিযুক্ত সাহুকে বিভাগীয় প্রধান পদেই পুনর্বহাল রাখেন।