কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের রিসর্টে জঙ্গিহানায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০ জন। এই ঘটনায় জড়িতদের কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবারই সৌদি আরব সফরে গিয়েছেন তিনি। সেখানে থেকেই ফোনে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। তাঁকে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরেই নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে ঘটনার নিন্দা করেছেন মোদী। ঘটনার নিন্দা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
প্রধানমন্ত্রী এক্সে লিখেছেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে এই জঙ্গিহানার তীব্র নিন্দা করছি। যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানাই। প্রার্থনা করি, আহতেরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। সব রকমের সাহায্য করা হবে।’’ তার পরেই প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জঙ্গিদের। তাঁর কথায়, ‘‘এই জঘন্য অপরাধের নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের রেয়াৎ করা হবে না! তাঁদের অশুভ লক্ষ্য চরিতার্থ হবে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের পণ দৃঢ়। এটা আরও কঠিন হবে।’’
ঘটনার নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি এক্স হ্যান্ডলে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এই হিংসার ঘটনা নিন্দনীয় এবং অবশ্যই শাস্তিযোগ্য।’’
ঘটনার নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। তিনি ইতিমধ্যে কাশ্মীরে পৌঁছে গিয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার মতে, হামলাকারীরা ‘পশু, অমানবিক’। মঙ্গলবারের হামলায় ঠিক কত জন মারা গিয়েছেন, তা নিয়ে এখন সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। এই বিষয়টি উঠে এসেছে ওমরের পোস্টেও। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘মৃতের সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। তাই ওই নিয়ে কিছু বলছি না। পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হলে তা প্রকাশ করবে সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে সাধারণ মানুষের উপর এত বড় হামলা হয়নি।’’
পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় মোদী সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি ঘটনার নিন্দা করে বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে ফাঁপা দাবি না করে সরকারের দায় নেওয়া উচিত। পদক্ষেপ করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের বর্বরোচিত ঘটনা না হয়, যাতে নিরপরাধ ভারতবাসী প্রাণ না হারান।’’