দেশের সর্বকালের সেরা অ্যাথলিট হিসেবে নিজের নামটা প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। টোকিও অলিম্পিক্সে (Tokyo Olympics 2020) দেশের স্টার জ্য়াভলিন থ্রোয়ার সোনা জেতার পর প্যারিস অলিম্পিক্সে জিতেছেন রুপো। অভিনব বিন্দ্রার পর ব্যক্তিগত দক্ষতায় অলিম্পিক্স সোনা (Paris Olympics 2024) জয়ী দ্বিতীয় ভারতীয় তিনি। প্যারিস অলিম্পিক্সের আগেও এশিয়াড ডায়মন্ড লিগ, বিশ্ব চ্য়াম্পিয়নশপিও দেখেছে নীরজের কামাল। জাতীয় সোনাও জিতেছেন তিনি।
চলতি বছর নীরজকে ভুগিয়েছে চোট। কখনও কুঁচকি তো কখনও হাত! নীরজের জীবন ওষ্ঠাগত করে দিয়েছে চোট-আঘাত। আর কুঁচকির চোট নিয়েই প্যারিস অলিম্পিক্সের ফাইনালে পেয়েছিলেন রুপো। এমনকী ডায়মন্ড লিগের ফাইনালেও গত সেপ্টেম্বরে রুপো পেয়েছেন তিনি। তবে সেখানেও তাঁকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি চোট। বাঁ হাতের হাড়ে চিড় ধরা সত্ত্বেও নীরজের বর্শা ৮৭.৮৬ মিটার। মাত্র এক সেন্টিমিটারের জন্য গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটার্সের কাছে সোনা হারান তিনি। গ্রেনাডার তারকা জ্য়াভলিন থ্রোয়ার ৮৭.৮৭ মিটার জ্য়াভলিন ছুড়েছিলেন। নীরজ হাতের এক্স-রে রিপোর্ট পোস্ট করেছিলেন নিজের এক্স হ্য়ান্ডেলে। যা দেখে সকলে চমকে গিয়েছিল।
নীরজের সামনে এখন ভরা মরসুম। পুরো ২০২৫ পড়ে রয়েছে। তাঁকে ফিরতেই হবে। নীরজ সেরে ফেলেছেন আগামীর পরিকল্পনা। নীরজ এবার পাড়ি দিচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। পোচেফস্ট্রুম শহরে ৩১ দিনের অফসিজন ট্রেনিং করবেন। পোচেফস্ট্রুম শহরে নীরজ বহুবার ট্রেনিং করেছেন। টোকিয়ো এবং প্যারিসের আগেও। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক এই ট্রেনিংয়ের খরচাপাতি দেবে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নীরজ তাঁর প্রশিক্ষণ খুব তাড়াতাড়ি শুরু করবেন এবং ৩১ দিনের জন্য পোচেফস্ট্রুম থাকবেন, নীরজের ট্রেনিং সেশনের খরচ যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রক দ্বারা অর্থায়ন হবে। নীরজের ফিজিওথেরাপিস্টেরও ওখানে থাকা-খাওয়ার ব্য়বস্থা করা হবে।’ নীরজের চোট লেগেছিল মেটাকার্পাল হাড়ে। যা থাকে তালুতে। আঙুল এবং কব্জির সংযোগকারী হাড়ের নামই মেটাকার্পাল। মানব শরীরে প্রত্যেক হাতে পাঁচটি করে মেটাকার্পাল হাড় রয়েছে। যার কাজই হচ্ছে আঙুলের সঙ্গে কব্জির সংযোগসাধন। বোঝাই যাচ্ছে নীরজ চোট সারিয়েই ময়দানে নামছেন।