চাঁদ থেকে মলভর্তি ৯৬টি ব্যাগ ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে নাসার! কেন ‘মূল্যবান’ সেই বর্জ্য?

প্রায় ৫৪ বছর আগে চাঁদের মাটিতে প্রথম পা পড়েছিল মানুষের। প্রথম বার চাঁদে অবতরণ করে চাঁদ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য, মাটি, পাথর নিয়ে পৃথিবীতে ফিরেছিলেন মহাকাশচারীরা। তবে কিছু জিনিস সেখানে রেখেও এসেছিলেন তাঁরা। যার মধ্যে রয়েছে মহাকাশচারীদের মলভর্তি অনেকগুলি ব্যাগ!

আমেরিকা ছ’বার চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছে। আর প্রায় প্রতি বারই চাঁদের বুকে মলভর্তি ব্যাগ ফেলে এসেছেন মহাকাশচারীরা। হিসাব মতো প্রায় ৯৬ ব্যাগ ভর্তি মল চাঁদের মাটিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। আর সেই ব্যাগগুলি আবার পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে নাসা। শীঘ্রই নাকি চাঁদে আবার মানুষ পাঠাবে নাসা। কয়েক দশক পুরনো মানুষের মল সংগ্রহ করে আনবেন মহাকাশচারীরা। বছরের পর বছর ধরে চাঁদে থাকার পর সেই মলে কী ধরনের রাসায়নিক পরিবর্তন হয়েছে, তা পরীক্ষা করার জন্যই নাকি ব্যাগগুলি ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা চলছে। পাশাপাশি, চাঁদে প্রাণের বীজ বপণ করা যেতে পারে কি না, তা-ও বর্জ্য বিশ্লেষণ করে খুঁজে বার করার চেষ্টা করবেন বিজ্ঞানীরা।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাসা মনে করছে, বর্জ্য পদার্থের ব্যাগগুলি যদি অক্ষত থাকে, তা হলে এখনও সেগুলিতে কিছু পরিমাণ মল অবশিষ্ট থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই মল ‘মূল্যবান’ বলেই মনে করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। নাসার বিজ্ঞানীরা নাকি এ-ও মনে করছেন যে, মলের অবশিষ্টাংশ পরীক্ষা করে দেখলে চাঁদ সংক্রান্ত অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। উঠে আসতে পারে অনেক অজানা তথ্য।

এখনও পর্যন্ত মোট ১২ জন মহাকাশচারী চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছেন। মহাকাশে প্রস্রাব বা মলত্যাগের প্রয়োজন হলে কী করতে হবে, সেই প্রশিক্ষণ তাঁদের দিয়েই পাঠিয়েছিল নাসা। সেই মতোই মহাশূন্যে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন তাঁরা। তবে ফেরার সময় চাঁদের বুকে মলের ব্যাগগুলি ফেলে এসেছিলেন। মহাকাশযানের বাড়তি ওজন কমানোর জন্যই মহাকাশচারীরা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পাশাপাশি, মহাকাশযানের মধ্যে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে কারণেও ওই ব্যাগগুলি চাঁদে ফেলে আসা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.