ব্যবসায় মন্দা। বাজারে দেনার পাহাড়! ‘আমরা আর পারছি না’, শেষে কিডনি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিল দম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধানতলায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ধানতলার হালালপুর গ্রামের বাসিন্দা খোকন সন্ন্যাসী। স্ত্রী অলকা ও ৯ বছরের মেয়েকে নিয়ে সংসার। রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা-মাও। খোকন পেশায় ব্যবসায়ী। নিজেই রুপোর গয়না তৈরি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই ব্যবসায় মন্দা চলছে। ফলে ঋণের বোঝা বেড়েছে। পরিস্থিতি এমনই জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, পাওনাদারে চাপে আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন খোকন ও অলকা। কিন্তু মেয়ের জন্য সেই ভাবনা থেকে সরে আসেন তাঁরা।
নিজেদের একটি করে কিডনি বিক্রি ধার শোধ করতে চান ওই দম্পতি। বস্তুত, এ ব্য়াপারে সরকারি সাহায্য চেয়ে রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের বিডিও শুভজিৎ জানার কাছে আবেদনও করেন। বিডিও জানান, ‘এইভাবে কিডনি বিক্রি করা অবৈধ এবং অমানবিক। সরকারিভাবে সাহায্যের দরজা খোলা রয়েছে। প্রয়োজনে আমরা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে অথবা অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা যেতে পারে’। ফলে এখন চরম অনিশ্চয়চতায় দিন কাটছে ওই দম্পতির।
খোকন বলেন, ‘আমরা আর পারছি না। আত্মসম্মান তো দূরের কথা, দুমুঠো ভাত জোটানোই মুশকিল হয়ে গিয়েছে। সরকারের কাছে সাহায্য চাই, নয়তো সত্যিই কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব’।