‘পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এবং সংবেদনশীলতাই সম্পর্কের ভিত্তি’, ব্রিকসে জিনপিংকে বললেন মোদী

পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-য় সংঘাতের অবসান ঘটাতে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতাকে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেডিসেন্ট শি জিনপিং। রাশিয়ায় কাজ়ানে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির (ভারত, রাশিয়া, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা) ষোড়শ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে বুধবার জিনপিংয়ের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেন মোদী। সেখানেই সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রনেতার।

বুধবার বৈঠকের পরে মোদী বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি, ভারত-চিন সম্পর্ক কেবল আমাদের জনগণের জন্য নয়, আন্তর্জাতিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’ সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এবং সংবেদনশীলতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথনির্দেশিকা স্থির করবে।’’ অন্য দিকে জিনপিং বলেন, ‘‘চিন এবং ভারত উভয়ই প্রাচীন সভ্যতা, প্রধান উন্নয়নশীল দেশ এবং গ্লোবাল সাউথের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। দু’দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই আমাদের মধ্যে মতবিরোধের ক্ষেত্রগুলি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।’’

প্রসঙ্গত, ‘টহলদারির সীমানা’ নির্ধারণের বিষয়ে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন পেট্রলিং পয়েন্টে চিনের সঙ্গে সমঝোতা হয়ে গিয়েছে বলে সোমবার বিদেশ সচিব বিক্রম মিশরি এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন। মঙ্গলবার চিনা বিদেশ দফতরের মুখপাত্র লিন জিয়ান কার্যত সেই সুরেই ‘দ্বিপাক্ষিক ঐকমত্যের’ কথা জানিয়েছেন। এই আবহে বুধবার কাজ়ানে পার্শ্ববৈঠকে মুখোমুখি হয়েছিলেন মোদী-জিনপিং। প্রায় পাঁচ বছর পরে আবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন তাঁরা। গত বছর অগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে এবং সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লির জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন মোদী-জিনপিং। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.