ব্যাঙ্ককে ভেঙে পড়া ৩০ তল নির্মীয়মাণ ভবনের ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা বেশির ভাগেরই হয়তো মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই আশঙ্কা করছে ব্যাঙ্কক পুলিশ। গত শুক্রবারের ভূমিকম্পে চোখের নিমেষে ভেঙে গুঁড়িয়ে যায় তাইল্যান্ডের রাজধানীর ওই বহুতলটি। তার পর থেকে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। এখনও অন্তত ৫০ জন ওই ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে সময় যত এগোচ্ছে, তাঁদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা তত ক্ষীণ হচ্ছে। রবিবার দুপুরে ব্যাঙ্কক পুলিশও সেই আশঙ্কার কথাই জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’কে ব্যাঙ্কক পুলিশ জানিয়েছে, জীবিত কারও সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা এক শতাংশেরও কম।
শুক্রবার যখন ওই নির্মীয়মাণ ভবনটি ভেঙে পড়ে, তাতে শতাধিক মানুষ আটকে পড়েছিলেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। বহুতলটি ভেঙে পড়ার সময়েই ১০ জনের মৃত্যু হয়। রবিবার সকালে সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছিল, তাইল্যান্ডে মোট ১৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৩২ জন। তখনও ৮৩ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। নিখোঁজদের মধ্যে বেশির ভাগই ওই নির্মীয়মাণ বহুতলের শ্রমিক বলে অনুমান করা হচ্ছে। পরে রবিবার দুপুরে জানা যায় অন্তত ৫০ জন ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছেন।
ব্যাঙ্ককের ডেপুটি গভর্নর তাইডা কামোলভেজ অবশ্য এখনই আশা ছাড়ছেন না। সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’কে তিনি জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে উদ্ধারকাজ কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, ৩০ তলার ধ্বংসস্তূপ সেখানে জড়ো হয়ে রয়েছে। তবে উদ্ধারকারী দল এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ব্যাঙ্ককের ডেপুটি গভর্নর জানিয়েছেন, তিনি এখনও আশাবাদী উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে।
গত শুক্রবার মায়ানমারের ভূমিকম্পের প্রভাব পড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ তাইল্যান্ডেও। তবে তাইল্যান্ডের রাজধানী শহর ব্যাঙ্ককের বাইরে প্রাণহানির কোনও খবর এখনও পর্যন্ত মেলেনি। তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পি শিনাওয়াত্রা শুক্রবারই এক জরুরি বৈঠকে জানিয়ে দেন, ব্যাঙ্ককের ওই নির্মীয়মাণ ভবন বিপর্যয় বাদে দেশে সব কিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। সংবাদমাধ্যম সিএনএন সূত্রে খবর, ব্যাঙ্ককের প্রায় দু’হাজার নির্মাণে ফাটল দেখা দিয়েছে। তার জেরে ব্যাঙ্ককের ৭০০টি ভবন পরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।