মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে গোয়া জিতে যাওয়ায় আইএসএলের লিগ-শিল্ড জয়ের অপেক্ষা বেড়েছে মোহনবাগানের। তবে শিল্ড জেতার জন্য বেশি তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না মোহনবাগান। তাদের লক্ষ্য একটা একটা ম্যাচ ধরে এগোনো। সে কারণেই শনিবার কেরল ব্লাস্টার্সকে হারানোর জন্য বদ্ধপরিকর মোহনবাগান। গ্রেগ স্টুয়ার্ট, সাহাল সামাদ, আশিস রাইয়ের মতো প্রথম দলের ফুটবলারদের ছাড়াই জয়ের ছক কষছেন কোচ হোসে মোলিনা।
কার্ড সমস্যায় কেরল ম্যাচে পাওয়া যাবে না মাঝমাঠের চালিকাশক্তি স্টুয়ার্টকে। ফলে এই ম্যাচে আবার স্টুয়ার্টের জায়গায় ফিরতে চলেছেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। স্টুয়ার্ট চোটে থাকাকালীন মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন পেত্রাতোস। মাঝমাঠে দীপক টাংরি খেলতে পারেন আপুইয়ার সঙ্গে। আশিস রাইয়ের জায়গায় দীপেন্দু বিশ্বাসের খেলার সম্ভাবনা।
হালকা চোট ছিল জেমি ম্যাকলারেনেরও। তবে বৃহস্পতিবারের অনুশীলনে তাঁকে বেশ চনমনে লেগেছে। ভাল করেই অনুশীলন করেছেন। তবে সবচেয়ে ভাল ব্যাপার, বল পায়ে অনুশীলন করেছেন অনিরুদ্ধ থাপা। ডার্বির আগে অনুশীলনে সৌরভ ভানওয়ালার সঙ্গে সংঘর্ষে চোট পেয়েছিলেন। সেই চোট অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন তিনি। কেরলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে তাঁকে দেখা যেতে পারে।
শনিবার যদি কেরলকে মোহনবাগান হারিয়ে দেয়, তা হলে তাদের ২১ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট হবে। তার পরের শনিবার, অর্থাৎ ২২ ফেব্রুয়ারি যদি কেরল কোনও ভাবে গোয়াকে হারিয়ে দিতে পারে, তা হলে মাঠে না নেমেই লিগ-শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে মোহনবাগান। তাদের পরের তিনটি ম্যাচের আর কোনও গুরুত্ব থাকবে না। কারণ প্রথম দুইয়ে শেষ করা এমনিতেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। যদি গোয়া পরের শনিবার জিতে যায়, তা হলে ২৩ ফেব্রুয়ারি মোহনবাগান ওড়িশাকে হারালেই লিগ-শিল্ড জিতে যাবে।
তবে লিগ-শিল্ড নিয়ে ভাবছেন না মোলিনা। তিনি বলেছেন, “লিগ-শিল্ড চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। আর দু’পা বাকি। তাই সময় নষ্ট করার কোনও জায়গা নেই। বিষয়টা হালকা ভাবে নিলে হবে না। আরও পরিশ্রম করতে হবে। লিগ-শিল্ড তো আর আমাদের কাছে আসবে না। আমাদের লিগ-শিল্ডের কাছে যেতে হবে।”
আপাতত মোলিনার ফোকাসে কেরল ম্যাচ। বলেছেন, “প্রথম কাজ কেরলকে হারানো। আপাতত সেই ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। কোচিতে তিন পয়েন্ট পেতে হবে। তা হলে এক পা এগোব। তার পরে ঘরের মাঠে আর এক পা।”
এ দিকে, শুক্রবার ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে সমর্থকদের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। দলের টিম বাস তো বটেই, কোচ বা কিছু ফুটবলার যাঁরা গাড়িতে করে আসেন, তাঁদের সামনেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। ম্যানেজমেন্টের বিদায়ের দাবিতে সোচ্চার হন সমর্থকেরা।