ইস্টবেঙ্গলকে সমীহ করলেও তিন পয়েন্টই চাই, কলকাতা ডার্বির আগে স্পষ্ট বার্তা মোহনবাগান কোচের

গত এক মাসে বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই। হারের হ্যাটট্রিকে ধুঁকতে থাকা দল বদলে গিয়েছে তাঁর হাত ধরে। আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস এসে মোহনবাগানকে শুধু জয়ের রাস্তাতেই ফেরাননি, দলকে লিগ-শিল্ড জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। ফলে আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের কলকাতা ডার্বিতে মুখোমুখি হওয়ার আগে অনেকটাই চাপমুক্ত মোহনবাগানের কোচ। কিন্তু রবিবারের ডার্বির আগে যেমন ইস্টবেঙ্গলকে সমীহ করছেন, তেমনই তিন পয়েন্টই যে তাঁর লক্ষ্য এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন হাবাস।

ম্যাচের আগের দিন তিনি বলেছেন, “আগেও বলেছি, এই ম্যাচ নিয়ে আমাদের কোনও আলাদা উত্তেজনা নেই। আমরা চাই তিন পয়েন্ট পেয়ে লিগে আরও উপরের দিকে উঠতে। জানি এই ম্যাচ ঘিরে কলকাতার সমর্থকদের মধ্যে আলাদা উত্তেজনা তৈরি হয়। আমার কাছে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সেখান থেকে তিন পয়েন্টই আমার লক্ষ্য।”

কলকাতা ডার্বিতে নামার আগে টানা আট দিন কোনও ম্যাচ খেলেনি মোহনবাগান। বাড়তি বিশ্রাম কি তাঁদের আরও এগিয়ে দিয়েছে ম্যাচে? হাবাসের কথায়, “বিশ্রাম পেলেও দলের ফুটবলারদের ফোকাস নড়েনি। আমরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী নই। স্বাভাবিক খেলা খেলতে চাই। আসলে দুটো দলের লক্ষ্যই আলাদা। আমরা চাই তিন পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে পৌঁছতে। ওরা চায় প্রথম ছয়ে শেষ করতে। আগের ম্যাচগুলোয় যা লক্ষ্য ছিল এ বারও তাই থাকবে। ইস্টবেঙ্গল যথেষ্ট ভাল দল। ২০টা ডার্বির পরেও হয়তো একই কথা বলব।”

সুমিত রাঠি এবং দীপক টাংরি ছাড়া ডার্বিতে সবাইকেই পাচ্ছে মোহনবাগান। কিন্তু প্রথম একাদশে কারা থাকবেন তা খোলসা করেননি হাবাস। বলেছেন, “আমার কোনও নির্দিষ্ট প্রথম একাদশ নেই। ম্যাচের পরিস্থিতি, প্রতিপক্ষের খেলার ধরন, হাতে থাকা ফুটবলার— সব মাথায় রেখেই প্রথম একাদশ তৈরি করি। কোনও ফুটবলার আমার সিস্টেমের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে না পারলে তাঁকে ছেঁটে ফেলতে দ্বিধা করি না। কারা খেলবে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়।”

কিছু দিন আগে জাতীয় দলের কোচ ইগর স্তিমাচ প্রশংসা করেছেন হাবাসের। সেই প্রসঙ্গে মোহন-কোচের উত্তর, “কোচ বদলালেও অনেক সময় বাকি জিনিসগুলো একই রকম থাকে। এখন সবার ভাল লাগছে কারণ দলটা উপরের দিকে উঠে আসছে। কোনও ম্যাচ হারছে না। প্রথম স্থানের জন্য লড়াই করছে। তবে জাতীয় দলের কোচকে আমার ধন্যবাদ।”

হাবাসের সঙ্গেই সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন অতীতে ডার্বির নায়ক দিমিত্রি পেত্রাতোস। তিনি বলেছেন, “মোহনবাগানে এসে বরাবরই নিজের খেলা উপভোগ করি। কোচ যে রকম বলছে সে ভাবে খেলার চেষ্টা করি। হাবাস এসে আমার মধ্যে খুব বেশি পরিবর্তন করেননি। আমার উপর আস্থা রাখেন এবং আমি সেই আস্থার দাম দেওয়ার চেষ্টা করি। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলা সহজ নয়। তবে নিজেদের উপরেই ফোকাস করছি। চেষ্টা করছি যাতে সব ঠিকঠাক থাকে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.