টানা তিন রবিবার, সেই একই ফল। গ্রুপ পর্যায় থেকে সুপার ফোর হয়ে ফাইনাল। প্রতিবার পাকিস্তানের কান মুলে ক্রিকেট শেখাল ভারত। ২২ গজে দীর্ঘ প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইতিহাস ভারত-পাকিস্তানের (IND vs PAK)। আটারি-ওয়াগার ক্রিকেটীয় লড়াই ‘মাদার অফ অল ব্যাটল’-এর তকমা পেয়েছে অনেক আগেই। তবে এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে, এই প্রথমবার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইন্দো-পাক (Asia Cup 2025 Final)। ঐতিহাসিক মহাযুদ্ধে শেষ হাসি হেসেছে সূর্যকুমার যাদবের (Surya Kumar) ভারতই! তবে গ্রুপ পর্যায়ের প্রথম সাক্ষাতে যে ‘করমর্দন বিতর্ক’ তৈরি হয়েছিল, তার রেশ ফাইনালেও দুবাইয়ে থেকে খেল। আর এসবের মাঝেই খবরের শিরোনামে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি (Mohsin Naqvi) যিনি আবার এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টও বটে।
ভারত জিতেও উইনার্স ট্রফি নেয়নি। আগেই জানা গিয়েছিল যে, শত্রুদেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানের হাত থেকে ভারত কোনও ট্রফি নেবে না। পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রতিবাদে ও দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সম্মানে সূর্যদের অবস্থান এক চুলও সরেনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথমবার বিজয়ীদের হাতে ট্রফি দেওয়া হল না!সূর্যকুমার এবং অন্যান্য ভারতীয় খেলোয়াড়রা ট্রফি ছাড়াই জয় উদযাপন করেছেন। এমনকী পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের নিয়ে তাঁরা ঠাট্টা-বিদ্রূপও করেছেন মাঠে। বিসিসিআই যদিও পিসিবি প্রধানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্রফিটি ভারতে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে। ফাইনালে ট্রফি দিতে এসেও তা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন মহসিন! এহেন কাজ করে নিজের দেশের মুখে ফের একবার কালি লাগিয়েছেন তিনি।
ভারত জেতার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে সূর্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, ‘খেলার মাঠেও অপারেশন সিঁদুর। ফলাফল সেই একই- ভারত জয়ী। আমাদের ক্রিকেটারদের শুভেচ্ছা।’ এই বার্তা দেখার পরেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন অপমানিত মহসিন। তিনি মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে এক্সেই লিখেছেন, ‘যদি যুদ্ধই আপনার গর্বের মাপকাঠি হয়, তাহলে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের হাতে আপনাদের অপমানজনক পরাজয়ের কথা লিখে রেখেছে ইতিহাস। কোনও ক্রিকেট ম্যাচই সেই সত্য নতুন করে লিখতে পারবে না। খেলাধুলায় যুদ্ধ টেনে আনা কেবল হতাশাকেই প্রকাশ করে এবং খেলার চেতনাকে অবমাননা করে।’ মহসিন আর বিতর্ক একসঙ্গে হাত ধরে চলে।