পহেলগাঁও হত্যালীলার কড়া নিন্দা আরও এক বার শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে। রবিবার তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের শুরুতেই পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে সুর চড়ান তিনি। তাঁর মুখে যেমন শোনা যায় একজোট হওয়ার বার্তা, তেমনই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি। রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের প্রথম ৬ মিনিট জুড়েই ছিল পহেলগাঁও প্রসঙ্গ। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে কী কী বললেন মোদী? দিলেন কী কী প্রতিশ্রুতি?
কড়া জবাব দেবে ভারত
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া জবাব দেবে ভারত! প্রত্যেক ভারতীয়ই নিহতদের পরিবারদের পাশে আছেন। কার্গিল থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ছড়িয়ে শোক ও ক্ষোভ। এটা শুধু পর্যটকদের উপর হামলা নয়, দেশের শত্রুরা ভারতের আত্মাকে আক্রমণ করার দুঃসাহস দেখিয়েছ। সন্ত্রাসকে গোড়া থেকে নির্মূল করার সময় এসেছে।’’
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটছে
মোদী মনে করেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ের ঘটনা দেখে প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গি হামলায় কেউ ছেলে হারিয়েছেন, কেউ ভাই, কেউ আবার জীবনসঙ্গী হারিয়েছেন। কেউ বাংলায় কথা বলতেন, কেউ কন্নড়, কেউ মারাঠি, কেউ আবার ওড়িয়া ও গুজরাতিতে। ১৪০ কোটি ভারতীয় শোকস্তব্ধ।’’
শান্ত কাশ্মীরকে অশান্ত করার চেষ্টা
পহেলগাঁও হামলা জঙ্গিদের ভিতু মনোভাবেরই প্রতিফলন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘কাশ্মীরে শান্তি ফিরছিল, স্কুল-কলেজ খুলছিল, গণতন্ত্র মজবুত হচ্ছিল। এ সব দেশের শত্রু বা জম্মু-কাশ্মীরের শত্রুদের সহ্য হয়নি। তারা চেয়েছিল, আতঙ্ক ছড়িয়ে কাশ্মীরকে আবার অশান্ত করে তুলতে। সেই কারণে এত বড় ষড়যন্ত্র করল।’’
একজোট হওয়ার বার্তা
মোদী সকলকে একজোট হওয়ার বার্তা দেন। তাঁর কথায়, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ১৪০ কোটি ভারতীয়ের একতাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। গোটা বিশ্ব দেখছে এই হামলার পর পুরো দেশ এক সুরে কথা বলছে। ভারতীয়দের মনে যে আক্রোশ আছে, তা গোটা দুনিয়াতেই আছে।’’
পাশে আছে বিশ্ব
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর বিশ্বের বিভিন্ন কোনা থেকে সমবেদনা মিলেছে বলেই জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘এই জঙ্গি হামলার পর বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে সমবেদনা আসছে। আমাকেও বিশ্বনেতারা ফোন করেছেন, চিঠি লিখে ঘটনার নিন্দা করেছেন।’’ মোদীর বিশ্বাস, গোটা বিশ্ব একজোট হয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের পাশে থাকবে।