ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলা সময় আবার এক বার ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে, জ়েলেনস্কির সঙ্গে ফোনে বার দুয়েক কথা হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর।
শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষসম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে চিনে রয়েছেন মোদী। তার আগে জাপান সফরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই শনিবার বেজিং পৌঁছোন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সফরের মাঝেই জ়েলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁর। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) তরফে এই ফোনালাপের বিষয়টি জানানো হয়। বলা হয়েছে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে মোদীকে অবগত করেন জ়েলেনস্কি।
পিএমও-র তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে দ্রুত শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে ভারতের সমর্থন পুনরায় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শুধু তা-ই নয়, এই বিষয়ে সম্ভাব্য সকল সহায়তা দেওয়ার কথাও জ়েলেনস্কিকে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, ভারত এবং ইউক্রেনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে। উল্লেখ্য, ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসে মোদী শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। সেই বিষয় জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান জ়েলেনস্কি।
রুশ-ইউক্রেন সামরিক সংঘর্ষে ভারত সব সময়েই শান্তি ফেরানোর পক্ষে সওয়াল করে এসেছে। এখনও দু’দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত অব্যাহত। শনিবার (স্থানীয় সময়) রাজধানী কিভ-সহ ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় রাশিয়া হামলা চালায়। সেই বিষয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে জ়েলেনস্কি দাবি করেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ থামাতে চান না। একই সঙ্গে মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুরোধ করেন জ়েলেনস্কি।
রাশিয়া থেকে তেল আমদানির ‘অপরাধে’ ভারতের রফতানি করা পণ্যের উপরে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনার ফলে ‘যুদ্ধ-যন্ত্রে জ্বালানির জোগান’ হচ্ছে। সম্প্রতি, যুদ্ধ থামানোর প্রসঙ্গে পুতিন এবং জ়েলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও রফাসূত্র বার হয়নি। তার মধ্যেই মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন জ়েলেনস্কি। সেই সময় রাশিয়ার তেল রফতানি নিয়ন্ত্রণ করার বিষয় নিয়ে মোদীকে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে এ বার ফোনালাপে সেই বিষয় উঠেছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
চিন সফরে সে দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠকের কথা রয়েছে মোদীর। অনেকের দাবি, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ উঠতে পারে। সেই বৈঠকের আগে জ়েলেনস্কির ফোন ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন অনেকে।