ভারত-পাক সামরিক সংঘাতের পর প্রথম বার বিদেশ সফরে যেতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চলতি বছরে জি৭ বৈঠকের আসর বসছে কানাডায়। কয়েক দিন আগেই এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য মোদীকে আমন্ত্রণ জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নে। এই বৈঠকে যোগ দিতে আগামী ১৬ জুন (সোমবার) কানাডার কানানাস্কিস শহরে পৌঁছোবেন মোদী। বৈঠকে মোদী আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।
শনিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে মোদীর বিদেশসফরের সূচি প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে কানাডা যাওয়ার আগে আগামী রবিবার (১৫ জুন) ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসে যাবেন মোদী। সোমবার সেখান থেকেই রওনা দেবেন কানাডায়। বুধবার (১৬ জুন) পর্যন্ত কানাডায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সরকারি সফরে যাবেন মধ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ ক্রোয়েশিয়ায়।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর এটিই মোদীর প্রথম বিদেশ সফর। তাই এই সফরে মোদী কী বার্তা দেন, সে দিকে নজর রয়েছে সকলেরই।
জি৭ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, তা নিয়ে প্রথমে জল্পনা শুরু হয়েছিল। যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে গত ৬ জুন মোদীকে ফোন করে আমন্ত্রণ জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নে। বিশ্বের সাত উন্নত অর্থনীতির দেশের অক্ষ হল জি৭। তবে রীতি অনুযায়ী, আয়োজক দেশ জি৭ জোটের বাইরে থাকা কোনও দেশকেও বৈঠকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়।
২০২০ সাল বাদ দিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে জি৭ সম্মেলনে আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে উপস্থিত থেকেছে ভারত। তবে এ বার সম্মেলনের সময় প্রায় হয়ে এলেও কানাডার তরফে আমন্ত্রণপত্র না-আসায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। উল্লেখ্য, কার্নের পূর্বসূরি জাস্টিন ট্রুডোর জমানায় খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদে কানাডার মদত ঘিরে নয়াদিল্লি এবং অটোয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছিল। কার্নে অবশ্য ক্ষমতায় এসেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দেন। কার্নের আমন্ত্রণ পেয়ে মোদী জানান, ভারত এবং কানাডা পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রেখে নয়া উদ্যমে একসঙ্গে কাজ করবে।