স্কুল থেকে এক ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে ভিন্রাজ্যে পালানোর অভিযোগে গ্রেফতার যুবক। সুদূর মহারাষ্ট্র থেকে অভিযুক্তকে ধরে আনল পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃতা নাবালিকাকেও।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের মগদমপল্লি থেকে স্থানীয় থানার সাহায্য নিয়ে ‘অপহরণকারী’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। দায়ের হয়েছে অপহরণের অভিযোগও।
‘অপহৃতা’ সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি গলসি থানা এলাকায়। গত ৭ জুলাই বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে শিক্ষকের কাছে ছুটি চায় ছাত্রীটি। অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলবে বলে তাঁর মোবাইল নিয়েই মেয়েটি পালিয়ে যায়। ছাত্রীকে খুঁজতে বাইক নিয়ে বার হন শিক্ষক। কিন্তু কোথাও তাকে না পেয়ে তিনি স্কুলে ফিরে যান। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল এবং ঘটনাক্রমে অসৎ উদ্দেশ্যে ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয় থানায়।
তদন্তে নেমে পুলিশ ওই মোবাইলের সূত্র ধরে জানতে পারে, মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের মগদমপল্লিতে রয়েছে মেয়েটি। সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বর্ধমানের পুলিশ। অবশেষে অপহৃতাকে উদ্ধার করে তারা। পাশাপাশিই অপহরণের অভিযোগে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বয়ানও নথিবদ্ধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। ছাত্রীর বয়ানের ভিত্তিতে পকসো আইনের ৬ ধারা যুক্ত করার আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। তা মঞ্জুর করেন বিচারক। ধৃতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। আগামী ২০ নভেম্বর আবার তাঁকে পকসো আদালতে হাজির করাতে হবে।

