তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই শতরান হাতছাড়া, বললেন কোহলি, মিল খুঁজে পেলেন পাকিস্তান ম্যাচের সঙ্গে

৪৩তম ওভারে অ্যাডাম জ়াম্পার বলটা লং অফে মেরেই মুখটা হতাশায় নামিয়ে নিলেন। তখনই হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন শটের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে। বেন ডোয়ারশুইস বলটি তালুবন্দি করার পর যখন তিনি ফিরে যাচ্ছেন, তখন চিৎকার করে কিছু একটা বলতে দেখা গেল কেএল রাহুলকেও। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে বিরাট কোহলি স্বীকার করে নিলেন, তাড়াহুড়ো করার জন্য শতরান করতে পারেননি।

কোহলি বলেছেন, “যে সময় আউট হয়েছি, তখন শতরান হতে আর ২০ রান মতো বাকি ছিল। আমি চেয়েছিলাম তাড়াতাড়ি সেই রানটা করে নিয়ে আর দু’ওভারের মধ্যে খেলা শেষ করে দিতে। মাঝেমাঝে সে ভাবেই খেলতে চাই। তবে কখনও সখনও আপনি যেটা চান সেটা কাজে লাগে না।”

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রান তাড়া করে শেষ মুহূর্তে শতরান করে দলকে জিতিয়েছিলেন। মঙ্গলবার দল জিতলেও তিনি শতরান পাননি। তবে পাকিস্তান ম্যাচের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের মিল খুঁজে পেয়েছেন তিনি। বলেছেন, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও একই ভাবে খেলেছিলাম। আসলে ছোটখাটো বিষয়গুলোয় নজর রেখে পিচ অনুযায়ী খেললে সাফল্য পাওয়া যায়। আজ চেয়েছিলাম বড় জুটি গড়তে। সেটা পেরেছি।”

কোহলিকে তৃপ্তি দিয়েছে তাঁর শট খেলার টাইমিংও। বলেছেন, “মরিয়া হয়ে রান তাড়া করার চেষ্টা করিনি। মাঠের এ দিক-ও দিক খুচরো রান নিতে পেরে ভাল লাগছিল। যখন আপনি ফিল্ডিংয়ের ফাঁক খুঁজে খুচরো রান নিতে পারবেন, তখন বুঝবেন ভাল খেলছেন। পাকিস্তান এবং আজকের ম্যাচে আমার কাছে সবচেয়ে তৃপ্তির জায়গা এই বিষয়টাই।”

আউট হওয়ার আগে পর্যন্ত কোহলিকে নিয়ন্ত্রিত ক্রিকেট খেলতে দেখা গিয়েছে। মনে হচ্ছিল দাবায় ভেবেচিন্তে চাল দেওয়ার মতো তিনিও ভাবনাচিন্তা করে শট খেলছেন। এ প্রসঙ্গে কোহলির মন্তব্য, “সেমিফাইনাল বা ফাইনালের মতো ম্যাচে চাপ থাকেই। যদি আপনি সময় নিয়ে খেলেন এবং হাতে উইকেট থাকেন, তখন বিপক্ষ দল চাপে পড়তে বাধ্য। আমাদের কাছে তখন ম্যাচটা আরও সহজ হয়। ম্যাচ চলার সময় নিয়ন্ত্রণ রাখাটা খুব দরকার। তাই সব সময় আমি মাথায় রাখি, কত রান দরকার এবং কত ওভার বাকি। যদি হাতে ছ’-সাতটা উইকেট থাকে এবং রান ও বলের পার্থক্য ২৫-৩০ হয়ে যায়, তা হলেও চাপে পড়ি না।”

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শতরান করার পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৪। ইংল্যান্ড সিরিজ়‌েও রান পেয়েছেন। তিনি এখন এক দিনের ক্রিকেটে সেরা ফর্মে? হাসতে হাসতে কোহলির উত্তর, “এটা তো আপনারা ঠিক করবেন। আমি ও সব নিয়ে কখনও মাথা ঘামাই না। মাইলফলকের দিকে না তাকিয়ে দলের জয়ের কথা ভাবলে এ ধরনের জিনিস আপনা থেকেই হতে থাকবে। দল যা চায় সেটা করতে পারলে আমি গর্বিত হই। মাইলফলক আর আকৃষ্ট করে না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.