Midnapur College, মেদিনীপুর কলেজের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠান

 উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে মেদিনীপুর কলেজের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলো। এদিন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের ডিগ্রি, স্বর্ণপদক, রৌপ্যপদক ও মেধা সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কুমার কর, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ পবিত্র সরকার।

নির্দিষ্ট সময় ও কর্মসূচি অনুযায়ী ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হয় মেদিনীপুর অটোনোমাস কলেজে। এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর দীপক কুমার কর, রবীন্দ্র ভারতী ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর ডক্টর পবিত্র সরকার, গর্ভনিং বডির সদস্য অভিজিৎ চক্রবর্তী, দীপক রঞ্জন মন্ডল, গোপাল বেরা, প্রবীর কুমার চক্রবর্তী, তনুশ্রী পাল। পুরো অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন মেদিনীপুর কলেজ দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক সত্য রঞ্জন ঘোষ। এদিন মোট ২১৪৪ জন রেজিস্ট্রিকৃত ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে ৭৩ জন স্বর্ণ পদক পান এবং ৬৯ জন রৌপ্য পদক পান। এই পড়ুয়ারা ২০২৩-২৪ সালের এই কলেজের উত্তীর্ণ পড়ুয়া। এদিন তাদের একে একে পদকগুলি তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কুমার কর।

তবে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ছেলেদের থেকে মেয়েদের সংখ্যা ছিল বেশি। আর্স, সায়েন্স সহ কম্পিউটার সায়েন্সের পড়ুয়াদেরও এই পদক তুলে দেওয়া হয়। বিশিষ্ট অতিথিদের হাত থেকে এই পদক পেয়ে স্বভাবতই খুশি পড়ুয়ারা। বক্তব্য রাখতে বিশিষ্ট অতিথিরা এই মেদিনীপুর কলেজের দেড়শো বছরের ঐতিহ্য বর্ণনা করেন। সেই সঙ্গে তুলে ধরেন এই কলেজে পড়াশোনা করে যাওয়া বিপ্লবীদের জীবনী।

এ বিষয়ে মেদিনীপুর কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক সত্য রঞ্জন ঘোষ বলেন, ”আমরা এই অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে করতে পেরে খুব খুশি হয়েছি। যেখানে বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। আমরা গত ২৩-২৪ সালের ডিগ্রি প্রাপকদের পদক ও সেই সঙ্গে সার্টিফিকেট দিয়েছি। আমরা চাই বাকি জীবনে তারা যেন উন্নতি করে।

তবে ছেলেদের থেকে এদিন মেয়েদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় তিনি বলেন, সমাজের শিক্ষার হার বাড়ছে। মেয়েরাও ছেলেদের পাশাপাশি পায়ে পা রেখে এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থায়। তবে পুরো অনুষ্ঠান তত্ত্বাবধানে শুধু আমি না আমাদের কলেজের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা যে ভাবে কাজ করেছে তাতে আমি অভিভূত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.