এয়ার ইন্ডিয়ার ‘এআই১১৭’ ভেঙে পড়ার স্মৃতি এখনও টাটকা! দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে ‘মে ডে’ কল করেছিলেন পাইলট। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এ বার সেই ঘটনার সপ্তাহখানেকের মাথায় একই কাণ্ডের ছায়া দেখা গেল বেঙ্গালুরুতে। তবে এ বার বিপদ বুঝে আগেভাগেই ‘মে ডে’ কল করলেন বিমান চালক। পাইলটের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল ১৬৮ জন যাত্রীর।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। অসমের গুয়াহাটি থেকে বিকেল ৪টে ৪০ মিনিট নাগাদ উড়েছিল ইন্ডিগোর ৬ই-৬৭৬৪ (এ৩২) বিমানটি। গন্তব্য ছিল চেন্নাই। কিন্তু বিমানে জ্বালানি কম থাকায় বেঙ্গালুরুতে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। জানা গিয়েছে, বিমানটিতে ১৬৮ জন যাত্রী ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ চেন্নাই নামার চেষ্টা করে বিমানটি। কিন্তু মাঝ-আকাশে অতিরিক্ত যানজটের কারণে চেন্নাইয়ে অবতরণের সবুজ-সঙ্কেত মিলছিল না। পর পর তিন বার অবতরণের চেষ্টা করে বিমানটি। অন্য দিকে, বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে আসছিল। সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন পাইলট। চেন্নাইয়ের বদলে সোজা রওনা দেন বেঙ্গালুরুর দিকে। দুর্ঘটনা এড়াতে আগেভাগেই ‘মে ডে’ কলও করেন। শেষ পর্যন্ত বিমানটি নিরাপদেই বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। সূত্রের খবর, পাইলটের প্রত্যুৎপন্নমতিত্বেই বড়সড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে। দুই পাইলট-সহ সমস্ত যাত্রী নিরাপদে রয়েছেন।
কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সূত্রকে উদ্ধৃদত করে সংবাদমাধ্যম টাইম্স অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ‘মে ডে’ কল পাওয়ার পরেই তৎপর হয় এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)। সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল দল এবং দমকলকর্মীরা কেম্পেগৌড়া পৌঁছোন। শেষমেশ ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ কেম্পেগৌড়ায় নামে বিমানটি। তার পর বিমানটিতে জ্বালানি ভরে রাত ১১টা ২৫ মিনিট নাগাদ চেন্নাইয়ে পাঠানো হয় যাত্রীদের। যদিও পাইলট প্রকৃতই ‘মে ডে’ কল করেছিলেন কি না, তা নিয়ে ইন্ডিগো-র তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।