সিংহের গুহায় ঢুকে সিংহশিকার! আর কীভাবেই বা একে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। বিশ্বকাপের যোগ্যতাঅর্জন পর্বে কুয়েতের মাঠে কুয়েতের বিরুদ্ধে খেলা ছিল ভারতের। আর সেই ম্যাচে ভারত জিতল ১-০ গোলে। ৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করলেন সুনীল ছেত্রীরা। এর পরে ভারতের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী কাতার। ৭৫ মিনিটে মনবীর সিং (Manvir Singh) গোলটি করেন ভারতের হয়ে। সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি কুয়েত।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলছে দেশের মাঠে। দুদ্দাড়িয়ে খেলে ভারতীয় ক্রিকেট দল ফাইনালে পৌঁছেছে। ১৯ তারিখ মেগাফাইনাল। রোহিত শর্মার হাতে বিশ্বকাপ ওঠে কিনা সময় বলবে। দেশে ভারতের ক্রিকেট দলকে নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রার্থনা। অন্যদিকে এদিনও সুনীল ছেত্রীদের জন্য প্রার্থনায় বসেছিলেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। সুনীলরা হতাশ করেননি দেশের আপামর ক্রীড়াপ্রেমীদের। বিশ্বকাপ ফুটবলের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে বিদেশের মাঠে গিয়ে সুনীল ছেত্রীদের এই জয় নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। ক্রিকেট ও ফুটবল– দুই খেলাতে দেশের এই সাফল্য ক্রীড়াপ্রেমীদের মুখে ছড়িয়ে দেবে হাজার ওয়াটের আলো।
প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। কোনও দলই গোল করতে পারেনি। কিন্তু খেলার ৭৫ মিনিটে ছবিটাই বদলে যায়। বাঁ দিক থেকে ছাংতে বল বাড়িয়েছিলেন মনবীরকে লক্ষ্য করে। মনবীরের শরীরের সঙ্গে লেগে তখন কুয়েতের দুই ডিফেন্ডার। মনবীরের বাঁ পায়ের শট কুয়েতের গোলকিপারকে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে যায়।
এই কুয়েতকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সাডেন ডেথে হারিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রীরা। এই ম্যাচের আগে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দুবার মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দেশ। দুবারই ভারত ছিল অপরাজিত। এদিন তো কুয়েতকে মাটি ধরাল। কুয়েতে আসার আগে সুনীল ছেত্রীরা দোহায় পাঁচ দিনের শিবির করেন নাওরেম মহেশরা। তার ফল পাওয়া গেল। কুয়েতের ঘরের মাঠে গিয়ে রূপকথা লিখল ভারত।