এর আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে গিয়ে তিনি হাজিরা দিয়েছেন। তবে বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। ইডির একটি সূত্রের দাবি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে তদন্তকারীরাও যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। তবে কোনও ভাবেই মানিকের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করতে পারছেন না। সেই সূত্রেই মানিকের পলাশিপাড়ার বাড়িতে বৃহস্পতিবার গিয়েছিল ইডির একটি দল। তবে সেখানেও তাঁর দেখা পায়নি তারা।
পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক। স্থানীয়দের দাবি, বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁকে নাকাশিপাড়ার বাড়িতে দেখা যায়নি। ঘটনাচক্রে, বুধবার রাতেই নদিয়ায় পৌঁছয় ইডির তিনটি দল। তার মধ্যে একটি দল বৃহস্পতিবার মানিকের বাড়িতে যায়। ওই দলে ইডির দুই কর্মী ছিলেন। তাঁরা যদিও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে ইডি পলাশিপাড়া পৌঁছতেই মানিককে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। নাকাশিপাড়া বিধানসভার কালীগঞ্জ ব্লকের রাজারামপুর পঞ্চায়েতের ঘোড়ায়ক্ষেত্র গ্রামে পৈতৃক বাড়ি রয়েছে মানিকের। পাঁচিলঘেরা হালকা গোলাপি রঙের দোতলা সেই বাড়ি আপাতত তালাবন্ধ। স্থানীয়দের দাবি, অগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সেই বাড়িতে নেই মানিক। মানিকের বিরুদ্ধে এসএসসি এবং টেটে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তা নিয়ে টানাপড়েনও জারি রয়েছে।
বুধবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ কল্যাণীতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়ানের গেস্ট হাউসে তিনটি সাদা গাড়িতে ইডির ১১ সদস্যের একটি দল পৌঁছয়। সূত্রের খবর, সেখানে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন ইডি আধিকারিকরা। বিএসএফের কাছে বাড়তি নিরাপত্তার অনুরোধ করেন ইডি আধিকারিকেরা, এমনটাই ওই সূত্রের দাবি। ইডি সূত্রের দাবি, এর পর কল্যাণী থেকে কৃষ্ণনগরে বিএসএফের অন্য একটি গেস্ট হাউসে যায় ইডির ওই দলটি। বৃহস্পতিবার সকালে ১১ জনের দলটি ভেঙে তিনটি আলাদা দল গড়া হয়। তার একটি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়। অন্য দু’টি দল পৌঁছেয় নাকাশিপাড়ায়। তার মধ্যে একটি দল আবার মানিকের বাড়িতে যায়। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিককে খুঁজে না পেয়ে তাঁর ওই বাড়িতে ‘লুকআউট নোটিস’ সাঁটানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের পরামর্শও নিচ্ছে তারা। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনও নোটিস মানিকের বাড়িতে সাঁটানো হয়নি। ইডির দু’টি দলই নাকাশিপাড়া ছেড়ে বিকেল নাগাদ পৌঁছেছে জেলা সদর কৃষ্ণনগরে।