ছাগল চরানোর ফাঁকে প্রস্তুতি নেন ইউপিএসসির, আইপিএস হয়ে তাক লাগালেন মহারাষ্ট্রের বীরদেব

তাঁর পূর্বপুরুষেরা ছাগল, ভেড়া চরাতেন। তাঁর বাবা, কাকাও একই কাজ করেন। বাদ যাননি তিনিও। সংসারের হাল টানতে তাঁকেও একই দায়িত্ব তুলে নিতে হয়েছে কাঁধে। কিন্তু ছাগল চরানো সেই যুবকই তাক লাগিয়ে দিলেন সকলকে। ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হয়ে আইপিএস হতে চলেছেন তিনি।

বীরদেব সিদ্দাপ্পা। মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের বাসিন্দা। ২০২৪ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন বীরদেব। সম্প্রতি ইউপিএসসির ফল প্রকাশিত হয়েছে। বীরদেবের সর্বভারতীয় র‌্যাঙ্ক ৫৫১। মহারাষ্ট্রের এই যুবক জানিয়েছেন, সংসারে অভাব, অনটন। বাবা, কাকা সকলেই ছাগল-ভেড়া চরানোর কাজ করেন। সংসারের অভাবের জন্য কাকার বাড়িতে গিয়ে থাকতেন তিনি। সেখানেও কাকার ছাগল-ভেড়া চরানোর কাজ করতেন।

বীরদেব বলেন, ‘‘আমি মাঠে ছাগল চরাচ্ছিলাম। সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনটা হাঠাৎ বেজে উঠল। দেখলাম, আমার এক বন্ধু ফোন করেছে। ফোন তুলতেই আমাকে ও বলল, কি রে ইউপিএসসির রেজাল্ট বেরিয়েছি তো? জানিস না তুই? তার পরই আমাকে হাসতে হাসতে বলল, এখন থেকে তুই আইপিএস।’’ বন্ধুর ফোন পেয়ে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি বীরদেব। বাড়ি ফিরে ইউপিএসির প্রার্থীদের তালিকায় চোখ বোলাতেই নিজের নাম দেখতে পান তিনি।

বীরদেব জানিয়েছেন কী ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘সকাল হতেই ছাগল চরাতে বেরিয়ে পড়তাম। সঙ্গে বইও নিয়ে যেতাম। ছাগলগুলিকে মাঠে ছেড়ে দিয়ে তার ফাঁকে যেটুকু সময় পেতাম ইউপিএসসির জন্য পড়াশোনা করতাম।’’ গ্রামের স্কুলেই দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। তার পর পুণে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। প্রথম দু’বার ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয় বারের চেষ্টায় সফল হন বীরদেব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.