Live-in Partners will rules: ‘প্লিজ… যদি ভবিষ্যতে বাঁচতে চান তবে, লিভ-ইন করবেন না!’, রেডঅ্যালার্ট জারি করলেন নামী আইনজ্ঞ…

উইল করা না থাকলে অবিবাহিত সঙ্গীরা কেউ কারও কিছুই পাবেন না…

যেসব দম্পতি বিবাহিত নন (Unmarried Couple) বা সিভিল পার্টনারশিপে (Civil partnership) নেই, তাদের সতর্ক করা হচ্ছে যে তাদের মধ্যে একজনের উইল (Will) ছাড়া মৃত্যু হলে অন্যজন উত্তরাধিকার সূত্রে কিছুই পাবেন না। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে, যে সঙ্গী তাঁর মৃত প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাহিত বা সিভিল পার্টনারশিপে ছিলেন না, তার উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি পাওয়ার কোনও অধিকার নেই।

‘মানুষ মনে করে যে তাঁরা ২০ বা ৩০ বছর ধরে একসঙ্গে বসবাস করার কারণে তাদের সঙ্গীর সম্পত্তিতে স্বয়ংক্রিয় অধিকার রয়েছে। কিন্তু প্রচলিত আইন অনুযায়ী সঙ্গীরা (common law partners) উত্তরাধিকার আইনে স্বীকৃত নন। সঙ্গী জানেও না যে, সম্পত্তিটি আত্মীয়দের কাছে চলে যাবে।

আইনজ্ঞ ব্যাখ্যা করেছেন যে, সেক্ষেত্রে জীবিত সঙ্গীকে হয় পরিবারের উপর নির্ভর করতে হবে সম্পত্তিটি তাদের নামে হস্তান্তর করার জন্য, অথবা সম্পত্তির বিরুদ্ধে আইনি দাবি জানাতে হবে, যার কোনোটিরই নিশ্চয়তা নেই। তিনি আরও বলেন, ‘এর খারাপ প্রভাবও রয়েছে। কঠিন সময়ে এটি একটি বিশাল মানসিক আঘাত, যা একটি উইল থাকলেই এড়ানো যেত।’

ওই আইন বিশেষজ্ঞ উইল সম্পর্কিত কয়েকটি ভুল ধারণা তুলে ধরেন, যার মধ্যে একটি হল বিয়ের সঙ্গে একটি উইল বাতিল হয়ে যায়। তিনি বলেন: ‘এটা প্রায়শই ঘটে যেখানে মানুষ বিয়ে করে এবং বুঝতে পারে না যে তাদের আর কোনো উইল নেই।’

ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে, যখন আপনি বিয়ে করেন, তখন পূর্বে করা যেকোন আইনত বৈধ উইল বাতিল হয়ে যায়, যদি না সেই উইলে পরিকল্পিত বিয়ের উল্লেখ থাকে। এর মানে হল, আপনি যদি তা না করেন বা বিয়ের পর নতুন উইল না করেন, তবে আপনার মৃত্যুর পর আইন সিদ্ধান্ত নেবে কে উত্তরাধিকারী হবে।

এর মানে হল, বিয়ের পর নতুন উইল না করলে, তাদের সম্পত্তি ‘রুলস অফ ইনটেস্টাসি’ (Rules of Intestacy) বা উইলবিহীন অবস্থায় উত্তরাধিকারের নিয়ম অনুযায়ী বণ্টিত হতে পারে।

এই পরিবর্তনগুলি দুর্বল বা বয়স্ক ব্যক্তিদের তথাকথিত ‘শিকারি বিবাহ’ (predatory marriages) থেকে রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে কেউ উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি পাওয়ার উদ্দেশ্যে বিয়ে করে।

শ্রীমতী মার্শ বলেন: ‘বিয়ের জন্য মানসিক যোগ্যতার মাপকাঠি আশ্চর্যজনকভাবে কম।’

আপনার উইলকে আইনত বৈধ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই:

১. ১৮ বা তার বেশি বয়সী হতে হবে;

২. স্বেচ্ছায় করতে হবে;

৩. সুস্থ মস্তিষ্কের হতে হবে;

৪. লিখিত হতে হবে

৫. ১৮ বছরের বেশি বয়সী দুই সাক্ষীর উপস্থিতিতে স্বাক্ষর করতে হবে এবং ওই সাক্ষীদের আপনার উপস্থিতিতে উইলে স্বাক্ষর করতে হবে।

তরুণদের উইল করার প্রয়োজন নেই – এই ভুল ধারণা সম্পর্কে শ্রীমতী মার্শ বলেন: ‘উইল করার জন্য আপনি কখনওই খুব কম বয়সী নন, বরং আপনি অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.