বিদায়বেলাতেও মুখ জুড়ে হাসি ছিল লতার, জানালেন সুর-সম্রাজ্ঞীর চিকিৎসক

রবিবার পরপারে পাড়ি দিয়েছেন ‘সুরের সরস্বতী’। ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন গোটা দেশ। শোকে কাতর তাঁর পরিবার, প্রিয়জনরা। রবিবার মুম্বইয়ে যেই ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন সুর-সম্রাজ্ঞী, সেখানে যেই চিকিৎসক তাঁকে দেখছিলেন সেই প্রতীত সামধানি জানিয়েছেন বিদায়বেলাতেও মুখ জুড়ে হাসি ছিল কিংবদন্তি শিল্পীর।

উল্লেখ্য, কোভিড পরবর্তী জটিলতার জেরেই মৃত্যু হয়েছে লতা মঙ্গেশকরের, জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসক প্রতীত সামধানি-ই জানিয়েছিলেন, ‘মাল্টি অর্গান ফেইলিউরের জেরেই মৃত্যু হল লতা মঙ্গেশকরের, কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২৮ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি, করোনা মুক্ত হয়েছিলেন কিন্তু করোনা পরবর্তী জটিলতার জেরে স্তব্ধ হল তাঁর যাত্রা’।প্রসঙ্গত, ডা.প্রতীত সামধানি গত তিন বছর ধরে লতা মঙ্গেশকরের চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যখনই লতাজি শারীরিক সমস্যায় পড়েছেন, চিকিৎসা করেছি। কিন্তু এবারে ওঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ওঁকে বাঁচাতে পারলাম না।’ সামান্য থেমে তিনি আরও জানালেন সুর-সম্রাজ্ঞী সবসময়ই বলতেন সবাই যেন সমান চিকিৎসা পান। চিকিৎসক প্রতীত সামধানি আরও বলেন, ‘যখনই ওঁকে কোনও শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করার কথা জানতাম, এতটুকুও বিরক্ত হতেন না। কোনও কিছু জিজ্ঞাসা করতেন না, নির্বিবাদে সব শুনতেন। জীবনের শেষ কয়েকটি বছর ওঁর শরীর ভালো ছিল না। খুব বেশি কারও সঙ্গে ডেকলহা করতেন না। কথাও কম বলতেন। আর লতাজির ব্যক্তিত্ব। এত বড় শিল্পী অথচ কী সাধারণ। সারাজীবন মনে থাকবে আমার। বিশেষ করে ওঁর সেই মিষ্টি হাসি। জীবনের শেষবেলাতেও তা অক্ষুণ্ন ছিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.