মন খারাপ কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীর। সরস্বতী পুজোর আবহেই চলে গেলেন ‘সুরের সরস্বতী’।সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে মনভার তিলোত্তমারও। টানা ২৮দিনের লড়াইয়ে রবিবার সকালে ইতি টানেন সুরসম্রাজ্ঞী। করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে, আর বাড়ি ফেরা হল না। কাজে এল না তাঁর কোটি কোটি অনুরাগীর প্রার্থনা।
একদিকে লতা মঙ্গেশকর যখন চলে গিয়েছেন, তখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই জারি রেখেছেন ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। করোনা আক্রান্ত হয়েই এই বর্ষীয়ান গায়িকা ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। এখন যদিও করোনা-মুক্ত, তবে শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল নবতিপর গায়িকা। তাই লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যু সংবাদ জানানো হয়নি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। অনেকে বলেন লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে নাকি তীব্র রেষারেষির সম্পর্ক ছিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। কিন্তু সেই তত্ত্ব ফুত্কারে উড়িয়ে সন্ধ্যা এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছিলেন, পরস্পরের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু তাঁরা। পাঁচের দশক থেকে শুরু হওয়া সম্পর্কের সেই ডোর কোনওদিন ছেঁড়েনি। একসঙ্গে বহু গানে গলা মিলিয়েছেন দুজনে। শিল্পী হিসাবে পরস্পরের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা তাঁদের। লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণের ধাক্কা যাতে কোনওভাবেই না পান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সেইজন্যই তাঁকে এই খবর না জানানোর সিদ্ধান্ত। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে, তবে ৯০ বছর বয়সী গায়িকাকে নিয়ে উদ্বেগ এখনও কমেনি চিকিত্সকদের। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মেডিক্যাল বোর্ডের এক সদস্য জানান, ‘ওঁনাকে লতা মঙ্গেশকরের খবরটা জানানো হয়নি। শরীরিকভাবে উনি এখনও শক্ত নন। নিজের সমসাময়িক শিল্পীর মৃত্যুর ধাক্কা সামলানো ওঁনার জন্য মুশকিল হয়ে যাবে’।
গত ২৭শে জানুয়ারি থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে বাইপাস লাগোয়া এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন শিল্পী। ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। সঙ্গে সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনও হয়েছে তাঁর ফুসফুসে। হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে,বাড়িতে পড়ে গিয়ে ভেঙেছে কোমরের হাড়। তবে আপতত সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের রক্তচাপ কিছুটা স্থিতিশীল, শরীরে অক্সিজেনের চাহিদাও কমেছে আগের চেয়ে অনেকটাই।