তার অন্ত নাই গো নাই! এ মহাকাশের, মহাবিশ্বের কোনও শেষ নেই, সীমা নেই! দিন-দিন সেটাই যেন আরও বেশি করে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই যেন এ বিশ্বের অকূল আকাশ-সমুদ্রের বিষয়ে নানা নতুন ধ্যান-ধারণা তৈরি হচ্ছে।
মহাকাশের এখনও পর্যন্ত জানা বস্তুগুলির মধ্যে এ পর্যন্ত যা সবচেয়ে বড় আকারের বলে প্রতিপন্ন, তা নিয়ে স্রেফ উচ্ছ্বসিত মহাকাশবিজ্ঞানীরা। ‘কুইপু’ বা ‘কিউইপিউ’ (Quipu) এক দৈত্যাকার বস্তু, সম্প্রতি যার খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
কীরকম বিশাল? কতটা তার পরিধি?
সাধারণ বুদ্ধিতে এর ধারণা করাই কঠিন। এটি ১.৩ বিলিয়ন লাইট ইয়ার্স, মানে, ১৩০ কোটি আলোকবর্ষ জুড়ে এর বিস্তার! আমাদের যে মিল্কি ওয়ে, এটি তার ১৩ হাজার গুণ বড়! অবিশ্বাস্য একটা পরিমাপ!
এর আগের এরকম যে-স্ট্রাকচারের কথা জানা ছিল সেটি ছিল ১০০ কোটি আলোকবর্ষ জুড়ে প্রসারিত। এর নাম ‘হার্কিউলিস-করোনা বোরিয়ালিস গ্রেট ওয়াল’। এরকমই আরও চারটি জায়ান্ট স্ট্রাকচারের কথা বিজ্ঞানীদের এতকাল জানা ছিল। এই ‘কুইপু’ বা ‘কিউইপিউ’ (Quipu)-ই এতে নতুন সংযোজন।
এগুলোকে সাধারণত সুপারক্লাস্টার বলা হয়। অনেগুলি গ্য়ালাক্সি থাকে এতে। কুইপু’ বা ‘কিউইপিউ’ তেমনই একটা। তবে এখনই এর পাশে আর কী আছে, কেমন তাদের চোহারাপত্র– কিছু বলা যাচ্ছে না। আরও আনুষঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ প্রয়োজন। বিজ্ঞানীরা যা জোগাড়ের চেষ্টায় আছেন। তবে বিজ্ঞানীরা একটা কথা বলছেন, যখনই এরকম বিশাল বড় কিছু মহাকাশে তৈরি হয় তখনই তা ভেঙে গিয়ে ছোট ছোট টুকরো তৈরি করে। আপাতত বিজ্ঞানীরা একে নিয়ে গবেষণা করে বুঝতে চাইছেন, গ্যালাক্সি কীভাবে তৈরি হয়, কীভাবে এ মহাবিশ্বের বিভিন্ন কসমোলজিক্যাল মডেলে উন্নতি ঘটে।