বৃষ্টিহীন কলকাতায় ষষ্ঠীর দিন মণ্ডপে মণ্ডপে ঢল নেমেছিল মানুষের। সপ্তমীর দিনও ছাতা কিংবা বর্ষাতি ছাড়াই প্রতিমা দর্শন করা যাবে কি না, তা জানতে উদ্গ্রীব সকলেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে সোমবার জানানো হয়েছে, সপ্তমীর দিনও কলকাতায় বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হলেও হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সোমবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই সোমবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায়— দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। এই চার জেলায় বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে।
অষ্টমীর দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায়। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহের কিছু এলাকায়। মঙ্গলবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে। দশমীর পর ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরের প্রায় সব জেলাতেই।
আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, অষ্টমীর দিন উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নবমীর দিন তা আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হতে পারে। ফলে নবমীর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দশমীর দিনও। দশমীর দিন বৃষ্টির প্রাবল্য বাড়তে পারে। হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে ওই দিন। সমুদ্র উত্তাল থাকার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ সংলগ্ন উত্তর এবং মধ্য বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে।